ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের আব্দুল হক ও তার চার ছেলের বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ডে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ৯০ হাতের ইউ রেল পেটান ঘরের ৭ টি রুম ও নগদ প্রায় ৩ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা পুড়ে যায়। এতে প্রায় সর্বমোট ১৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার বিকেলে বাড়ির লোকজন হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। পরে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে দেখেন মূহুর্তেই আগুন বাড়িটির চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তাদের ৭ টি থাকার রুম পুড়ে যায়। তারা সবাই এক বাড়ীতে থাকতো। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয় এলাকাবাসী। তবে ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এলাকাবাসী আরো জানায় ধামের হাট হতে ভুক্তভোগীর বাড়িতে আসার রাস্তা টি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের টিম টি ঘটনা স্হলে পৌছায়তে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় সেই সময়ে সব কিছু পুড়ে যায়।
প্রতিবেশী সাবেক পুলিশ সদস্য ও মানবাধিকার কো-চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান মন্ডল জানান, বাড়ির সব কিছু পুড়ে গেলেও পুড়েনি আল্লাহর কালাম ৩ টি কোরান শরীফ।
আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মাইদুল ইসলাম জানান, তাদের ৯০ হাতের ইউ পেলেন ৭ টি রুম পুড়ে গেছে। এছাড়া ঘরে থাকা তার নগদ ৮০ হাজার টাকা, তার ভাই সাইদুলের ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও তার বাবা আব্দুল হকের ২২ হাজার টাকা (মোট ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা), ২৫ মণ পাট, ৭০ মণ ধান, এছাড়া সোনার গহনা ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে সর্বমোট প্রায় ১৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বর্তমান ইউপি সদস্য আশরাফ আলী জানান, আগুনে পুড়ে আনুমানিক ১৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার ইমন মিয়া জানান, ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছার আগের এলাকাবাসী আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র পাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।