১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, শোকের মাস,।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী খাল থেকে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দু শফির ছেলে হামিদ (৬০)’র সহযোগিতায় নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী ঘুমধুমের আমতলী খাল থেকে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে আরাফাত নামের এক বহিরাগত ।
তাই অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে খাল পাড় ভেঙ্গে গিয়ে এলাকার প্রায় কয়েক একর ফসলীজমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘুমধুম ইউনিয়নের আমতলী এলাকার ৪০ শতক এলাকাজুড়ে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে ১০/১৫ জন শ্রমিক দিয়ে বালু উত্তোলন করছে রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দু শফির ছেলে ব্যবসায়ী হামিদ ও আরাফাত। আর তাদের এ অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে ইতিমধ্যে এলাকার কয়েক একর ফসলী জমি আমতলী খালের সাথে মিশে গেছে। এছাড়া প্রতিদিনই ভাঙ্গছে খালের দু’পার। বর্তমানে খাল পাড়ে প্রায় শতাধিক ট্রাক বালু মজুদ রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের পাশে ৪০ শতক জায়গা জুড়ে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে প্রায় প্রতি বছর বালু উত্তোলন করছে উখিয়ার রাজাপালং ইউপিস্হ ৮নং ওয়ার্ডের হামিদ ও আরাফাত। প্রতিদিনই খালের পাড় ভেঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে রেজু আমতলীর সীমানা। রাজাপালং ইউপিস্হ ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বালু ব্যবসায়ী হামিদ’ ও আরাফাতের মোবাইল নাম্বার না পাওয়ার কারনে তাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করা যাইনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কালাম বলেন, আমি বালু ব্যবসায়ীদেরকে সঠিক চিনিনা। তবে যারা বালু উত্তোলন করছে তাদেরকে সরজমিনে গিয়ে বাঁধা প্রদান করব।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে,এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, খাল থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে দিনে দিনে সীমানা পরিবর্তন হচ্ছে। তিনি আরো বলেন ইউপি সদস্যদের নিয়ে মিটিং করে বলেছি ঘুমধুম ইউনিয়নে কোন ব্যক্তি সরকারি কাগজ ছাড়া খাল থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবে না। যদি বালু উত্তোলন করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।