গত বৃহস্পতিবার হেফাজতে ই’স’লা’ম বাংলাদেশের সর্বশেষ দ্বিতীয় আমির আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর ই’ন্তেকালের পর হেফাজতের ভা’রপ্রাপ্ত আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
মা’ওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর বয়স প্রায় ৮৭ বছর। তিনি তিনি ১৯৩৪ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজে’লার দৌলতপুর ইউনিয়নের বাবুনগর গ্রামে এক মু’সলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর বাবা হারুন বাবুনগরী ছিলেন একজন প্রখ্যাত ই’স’লা’মী পণ্ডিত এবং আল-জামিয়াতুল ই’স’লা’মিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের প্রতিষ্ঠাতা।
১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস,
মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী স’ম্প’র্কে জুনাইদ বাবুনগরীর মামা হন। প্রয়াত জুনাইদ বাবুনগরীর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। এছাড়া হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহম’দ শফীর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে তিনি সিনিয়র নায়েবে আমির ছিলেন।
মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ভা’রতের বিখ্যাত ধ’র্মীয় প্রতিষ্ঠান দেওবন্দ মাদরাসা থেকে পড়াশোনা করেছেন। ই’স’লা’মী পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, ধ’র্মীয় বক্তা হিসেবে বিভিন্ন মহলে পরিচিত তিনি।
তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃত্বেও রয়েছেন বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালে তিনি ই’স’লা’মী ঐক্যজোটের সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
মুহিবুল্লাহ তার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা আল-জামিয়াতুল ই’স’লা’মিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর থেকে এবং উচ্চ মাধ্যমিক আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ই’স’লা’ম থেকে সম্পন্ন করেন। তারপর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ভা’রতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় যান এবং ১৯৫৯ সালে হাদিসে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
দেওবন্দে তিনি হুসাইন আহম’দ মাদানীর কাছ থেকে হিদায়া আখেরাইনের শেষ পাঠ গ্রহণ করেন। তিনি সৈয়দ ফখরুদ্দীন আহম’দের অধীনে সহীহ আল-বুখারী, ইব্রাহিম বালিয়াভীর অধীনে সহীহ মু’সলিম ও জামি আল তিরমিযী, ফখরুল হাসানের অধীনে সুনান আবু দাউদ এবং জহির আহম’দের অধীনে মুহাম্ম’দ আল-শায়বানীর বর্ণনায় মালিক ইবনে আনাসের মুওয়াত্তা অধ্যয়ন করেন।
দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দেশে ফেরার পর তিনি তার বাবা হারুন বাবুনগরীর তত্ত্বাবধানে আল-জামিয়াতুল ই’স’লা’মিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে শিক্ষক নিযু’ক্ত হন। পরবর্তীতে হারুন বাবুনগরী, মুহাম্ম’দ মু’সা, সুফি আবদুল জব্বার এবং আব্দুল হকের পরাম’র্শে তিনি আল-জামিয়াতুল ই’স’লা’মিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের চ্যান্সেলর নিযু’ক্ত হন।
১৫ নভেম্বর ২০২০ সালে তিনি হেফাজতে ই’স’লা’ম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হন। এর আগে, তিনি এই সংস্থার সহ-সভাপতি ছিলেন।
১৯৮৬ সাল থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজে’লার আল জামিয়াতুল ই’স’লা’মিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি চরমোনাই পীর ফজলুল করিমের জীবদ্দশায় ই’স’লা’মী আ’ন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ফজলুল হক আমিনীর জীবদ্দশায় তিনি ই’স’লা’মী ঐক্যজোট এবং ই’স’লা’মী আইন বাস্তবায়ন কমিটির সঙ্গে যু’ক্ত ছিলেন। পরে তিনি ই’স’লা’মী ঐক্যজোটের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৮ সালে ই’স’লা’মী ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ করেন।