নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জনগণের পাশে নেই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা! অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার কারণে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরাও আমাদের থেকে পিছিয়ে গেছেন, দাবি সুশীল সমাজের।
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর করোনার ভয়ে ঘর বন্দি, মানুষের মাঝে বিরাজ করছে নানা শঙ্কা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ গুলো পড়েছেন বিপাকে। নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থিরা গতবছর লকডউনে জনগণের পাশে থাকলেও এবছর পিছিয়ে যাওয়ায় তাদের আর দেখাই মিলছে না।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেউই খোজ নেয়নি কর্মহীনদের। করোনা ভীতির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঘর থেকে বের হচ্ছেন না উপজেলার অধিকশং জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক ।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঢাকঢোল বাজিয়ে নেমেছিল প্রচার প্রচারনায়। ছিলো সম্ভাব্য প্রার্থীদের কুশল বিনিময় ও ভোটারদের বাড়ী বাড়ী যেয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়। তবে লকডাউনের এই সময়ে জনগণের পাশে নেই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান- মেম্বার প্রার্থীরা ।
এনিয়ে সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। লকডাউন চলছে, এ সময়ে জনপ্রতিনিধি জনগণের পাশে থাকবে এমনটাই আশা করে জনগণ। যে সকল জনপ্রতিনিধি জনগণের পাশে থাকবে বা আছে তাঁরাই জনপ্রতিনিধিত্বের দাবি রাখেন।
আর যাঁরা গরিবের হক মেরে খেয়েছেন কিংবা জনগণ থেকে নিজেদের দূরে রেখেছেন, জনপ্রতিনিধি দাবি করার অধিকার তাঁদের নেই। মনে করেন সুশীল সমাজ।
এলাকাবাসী জানায়, এই নেতাদেরই ভোটের সময় জনগণের জন্য জীবন দিয়ে দেয়ার ঘোষণা পর্যন্ত দিয়ে ছিলেন। স্বাভাবিক অবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের কিছু রুটিন কাজ করলেই চলে। কিন্তু যখন দেশে দুর্যোগ আসে, সেটি হতে পারে প্রাকৃতিক কিংবা মানব সৃষ্ট, তখন জনপ্রতিনিধিদের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হয়। তারা আক্ষেপ করে বলে নির্বাচণ পিছিয়ে যাওয়ার কারণে চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরাও আমাদের থেকে পিছিয়ে গেছে।