মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল মান্দ্রা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান সরদারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বজলুর রহমান সরদার দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।মসজিদ-মাদ্রাসার সমস্ত আয়ব্যায় তিনি তার কাছেই রাখেন।তিনি কাউকেই হিসাব দেন না। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা তার কাছে হিসাব জানতে চাইলে তিনি তাদের সাথে উচ্চবাচ্য করে বকাঝকা করেন।
এব্যাপারে মসজিদের সহ-সভাপতি কাউছার খোড়া বলেন, বজলু রহমান সরদার মসজিদ-মাদ্রাসার ফান্ডের আয়ের টাকার হিসাব কাউকে দেননা। তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মসজিদ-মাদ্রাসা উন্নায়নের কথাবলে অর্থ আদায় করে থাকেন। আদায়কৃত অধিকাংশ টাকায তিনি নিজের ব্যক্তিগত কাজে খরচ করেন। তিনি বার্ষিক মাহফিলে জন্য টাকা কালেকশন করা অধিকাংশ টাকা নিজের পকেটে ঢুকান। কিছুদিন আগে ব্যাবসায়ী রফিকুল ইসলাম ব্যাপারি মসজিদে এসি লাগানোর জন্য ৭০ হাজার টাকা দিয়েছে তা তিনি নিজেই খরজ করে ফেলেছেন।কেও তার কাছে হিসাব চাইতে গেলে তিনি চিল্লাচিল্লি ও গালাগাল করেন।
মান্দ্রা গ্রামের বারেক ভূইয়ার ছেলে রফিক ভূইয়া জানান, আমি মাদ্রাসার ছাত্রদের ছাগল কিনে খাওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা দিছি।বজলুর রহমান সরদার সেই টাকা নিজেই খেয়ে ফেলেছেন।
মসজিদের মুসল্লি দৌলত সরদার বলেন, বজলু রহমান সরদার কাউকে হিসেব দিতে রাজি না হলে আমরা নিরুপায় হয়ে মসজিদ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা পরিষদের সদস্য মনির হোসেন মিটুলকে বিষটি জানাই। তিনি গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পূর্বে বজলু রহমান সরদার কে বলেন কমিটির সকল সদস্যদের কাছে হিসাব বুঝিয়ে দিতে। এ কথা বলার সাথে সাথে তিনি মসজিদে থাকা শতাধিক মুসল্লীদের সামনে মনির হোসেন মিটুলের সাথে আক্রমনাত্মক আচরণ শুরু করে।বজলু রহমান সরদার ছেলে লিংকু ফোন করে কিছু ভারাটে মাস্তান নিয়ে আসেন। তখন মনির হোসেন মিটুল থানায় ফোন দেন।পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ভাড়াটে মাস্তানরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি বজলু রহমান সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কাছে কেহ কোন হিসাব চায়নি।
টাকার হিসাব চাইলে আমি দিয়ে দিব।
উল্টো তারা আমাকে মারধর করার জন্য বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে আনছে।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক পাই। পরে আমি উভয় পক্ষকে আগামী সোমবার বেলা ১১টার দিকে থানায় আসতে বলেছি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে মীমাংসার জন্য।