শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

আজ পাইকগাছার শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দিন মনি মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী- দৈনিক বাংলার অধিকার

শেখ খায়রুল ইসলাম, পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি  / ৯৩ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১, ২:০৮ অপরাহ্ণ

পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মাহতাব উদ্দিন মনিমিয়াসহ৩০জনকে গণহত্যা করে কপিলমুনি ক্যাম্পের রাজাকাররা । তারা ঐ দিন সকাল থেকে পাইকগাছা বাজারের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে। তাদের এই বিচরণ এলাকার মানুষের মনে নানান রকম সন্দেহের সৃষ্টি করে।

রাজাকাররা ওই রাতেই সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সংগঠক শেখ মাহাতাব উদ্দিন মনি মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, গাজী শামসুর রহমান, মনোহর, নুনু বৈরাগী সহ কমপক্ষে ৩০ জন মানুষকে গুলি করে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। গদাইপুর ইউনিয়ন এর জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শহীদ শেখ মাহাতাব উদ্দিন মনি মিয়ার শরীরে ১১ টি বুলেট পাওয়া যায়।
সেদিনের ঘটনা
শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দিন মনি মিয়া ছিলেন পাইকগাছার অভিভাবক, গদাইপুর ইউনিয়ন এর জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। এ কারণে কপিলমুনি রাজাকাররা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২৮ জুলাই মনি মিয়াকে ধরে আনার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঐদিন সুবেহ সাদেকের সময় মনি মিয়ার ছোট ভাই জামাল উদ্দিন পায়ে হেঁটে এসে কপিলমুনির হাওলি গ্রামে তার ভগ্নিপতি মরহুম শেখ আবু তালেব এর সাথে তার বাড়িতে সাক্ষাৎ করেন এবং ঘটনা তাকে অবহিত করেন। আবু তালেব তাৎক্ষণিক জামাল উদ্দিন কে সাথে নিয়ে কপিলমুনি রাজাকার ক্যাম্পে গিয়ে কমান্ডারের সাথে দেখা করেন,এবং মনি মিয়াকে ছেড়ে দেবার জন্য অনুরোধ করেন। রাজাকার কমান্ডার তাকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন,বলেন কপিলমুনিতে নিয়ে আসার পর আপনাকে ডেকে আনা হবে এবং আপনার হাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।এদিকে ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকাজুড়ে মানুষের মাঝে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, ঘটনা আঁচ করতে পেরে রাজাকার কমান্ডার মনি মিয়াকে পথিমধ্যে হত্যার নির্দেশ দেয়। রাজাকাররা সিলেমানপুর এসে মনিমিয়াকে কপোতাক্ষ নদীতে নামিয়ে দিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। বছর ঘুরে ২৮ জুলাই বারবার ফিরে আসে। পাইকগাছার অভিভাবক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দিন মনি মিয়ার নাম আজ আর সেভাবে স্মরণ করা হয় না বটে তবে স্মৃতির পাতায় ময়লা জমলে ও তার অক্ষরগুলো অস্পষ্ট হয়ে যায় না,, পাইকগাছার প্রবীণ মানুষেরা তাই পরম শ্রদ্ধায় আজও স্মরণ করেন শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দিন মনি মিয়ার নাম।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!