পর্ব ২য়
২০০২ সালে কলেজ জীবন শুরু থেকে শিক্ষা জীবনের শেষ পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীতে অবস্থান করার সুবাদে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিগণসহ বিভিন্ন স্পর্ট পূর্ব পরিচিত হওয়া এবং চাকুরী জীবনও রাজশাহী মহানগরীই হওয়ার কারণে খুব সহজেই বিভিন্ন অপকর্মের সহিত জড়িত থেকেও পার পেয়ে যাচ্ছেন খুব সহজেই। বাবার নামে ক্রয় করেছেন রাজশাহী শহরের বিভিন্ন জায়গা এবং বনে গেছেন নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন হলদারপাড়া নামক স্থানের স্থায়ী নাগরিক।
অভিযোগ গত ১৭/০৯/২০ইং তারিখ আনুমানিক সময় সকাল ১০. ঘটিকায় এস আই মকবুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক সেবনকারী (গাজা) মোঃ আঃ করিম (০১৭৮৭১৭৫৯৫৮) পিতাঃ মোঃ আশরাফ আলী, মাতাঃ মোসাঃ কহিনুর বেগম, সাং- মোল্লাপাড়া আশ্রয় প্রকল্প, থানা- কাশিয়াডাঙ্গা, মহানগর রাজশাহীকে রাজশাহী চিড়িয়াখানার গেটের সামনে পেয়ারা বিক্রয় করছিল এমন সময়, এসআই নিঃ মকবুল হোসেন পেয়ারা বিক্রেতা মোঃ করিম কে আটক করেন এবং পেয়ারার ভ্যান সহ থানায় নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে আটক মোঃ করিমের স্ত্রী মোসাঃ নাসিমা খাতুন থানায় যায়, এরপর সরাসরি এসআই মোঃ মকবুল হোসেনকে বলেন, “স্যার আমার স্বামীকে কিসের জন্য ধরছেন।” উত্তরে এসআই মকবুল হোসেন বলেন,আমার আসামী লাগবে, আমি তাকে হেরোইন খেতে দেখেছি (আসলে সে হেরোইন খাইনি)।” এ কথা শুনে আটক মোঃ করিমের স্ত্রী মোসাঃ নাসিমা খাতুন বলে, “আমার স্বামী তো হেরোইন খায়না, আমার স্বামীর কাছে কিছু পেয়েছে?” প্রতি উত্তরে আবারো এসআই নিঃ মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, “কিছু না পাইনি তবুও তাকে হেরোইন দিয়ে চালান দিবো।” পরবর্তীতে তার স্ত্রী নাসিমা খাতুন পেয়ারার ভ্যান আনতে থানায় গিয়ে দেখে যে, তার স্বামীকে চালান দেয়া হয়ে গেছে। আটক ব্যক্তির মা ও স্ত্রীর সাথে কথা বলে জানতে পারি যে, তারা পেয়ারাসহ ভ্যানটি নিয়ে এসে অন্য লোক দিয়ে বিক্রয় করান এবং ১০০০/টাকা পায়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি কহিনুর বেগমের ছেলেকে অন্যায়ভাবে আটক করার ফলে পরিবারটি এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে যতদুর জানা যায় যে, এসআই মকবুল হোসেন করোনার প্রথম দিকে মোল্লাপাড়া আশ্রায়নের বেআইনি কাজ করতে গিয়ে আশ্রায়নের লোক জনের কাছে মার খায়। সেই ঘটনার জেরে, এসআই মোঃ মকবুল হোসেন প্রতিহিংসার বশিভূত হয়ে আটক মোঃ আঃ করিম কে হেরোইন না পেয়েও তাকে হেরোইনের মামলা দেয়। রাজপাড়া থানার জিআর নং- ৩১৮/২০২০ইং মামলা নং-৩৩, তারিখঃ ১৭/০৯/২০ইং মূলে ৩৬ (১) এর ৮ (খ) মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮, ৬ গ্রাম হেরোইন এর মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে চালান দেয়। এই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার সীমাহিন ঘুষখোর। তার ঘুষ গ্রহণের প্রতিবেদন আপনার দপ্তরে একাধিকবার প্রেরণ করা হযেছে। তার ঘুষ গ্রহণের প্রতিবেদন ভিডিও সহ প্রমাণিত হওয়াই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু আগের পুলিশ কমিশনার তাঁর নতুন কর্মস্থলে বদলী হয়ে যাওয়ার আগে তাকে মুক্তি দিয়ে যায়। সরেজমিনে অনুসন্ধানে যতদূর জানা যায়, এসআই মোঃ মকবুল হোসেন অন্যায়ভাবে তাকে আটক করে হেরোইনের মামলা দেন। এমনকি ১। স্বাক্ষী মোঃ সজিব (মোবাইল নং- (০১৭৪০৮৭১৩৪৭), পিতা- মোঃ সাদেক আলী, সাং- নগরপাড়া, ২। মোঃ হিরু শেখ, মোবাইল নং- (০১৭৭১৮১৫৬৩২) পিতা- মৃতঃ ফাইজুদ্দীন শেখ, সাং- গুড়িপাড়া, উভয় থানা- কাশিয়াডাঙ্গা এদের সামনে মোঃ আঃ করিমের কোন প্রকার দেহ তল্লাসি করা হয়নি এবং কি পেয়েছে সেটাও দেখায়নি বলে স্বাক্ষীদ্বয়ের ও আটক মোঃ আঃ করিমের মায়ের জবান বন্দী ভিডিও ক্লিপ সংযুক্ত করা হলো।
অভিযোগ গত ০৭/০৬/২১ইং তারিখ সময় আনুমানিক রাত্রি ১০ ঘটিকায় এস আই মকবুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ মোঃ সজীব হোসেন (২০), পিতাঃ মোঃ আজমল হুদা,বুলবুল, মাতাঃ মোসাঃ সাবেয়া বেগম, সাং- বুলনপুর কোর্ট বুলনপুর আনোয়ারের বাড়ীর পার্শ্বে), থানাঃ রাজপাড়া, মহানগর রাজশাহী তার সজীব নামক মুদি দোকানে অবস্থান করাকালীন সময় এসআই মকবুল হোসেন তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ দোকান থেকে বাহির হওয়ার জন্য বলিলে সজীব তাদের কথা দোকান থেকে বাহির হয় এবং ফোর্স তাকে জোরপূর্বক তল্লাশী করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হইলে এসআই মকবুল হোসেন বলেন যে, তার কাছে অবৈধ মাদক দ্রব্য পাওয়া গিয়েছে। জব্দ তালিকায় জোর পূর্বক বর্ণিত সাক্ষীদ্বয়ের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন আরও জানান যে, এসআই মকবুল হোসেন কিছু না পাওয়া সত্বেও সজীবকে গ্রেফতারে অন্যায়ভাবেব মারতে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমাদের উপর রাগান্নিত হইয়া বলে যে, “যে বেশি কথা বলবেন তাকেও এই মামলার সহযোগী আসামী বানানো হবে” মারতে মারতে তাকে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সজীবের বাবা থানায় গিয়ে তার ছেলেকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই(নিঃ)/মকবুল হোসেন বলেন যে, “নগদ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে নইলে তোর ছেলেকে মাদক দিয়ে চালান দিব, জীবনে কখনও সরকারী চাকুরী করতে হবে না” সজীবের বাবা উক্ত টাকা না দেওয়ায় সজীবের বাবাকে থানা থেকে বাহির করে দেন। সজীবের বাবা পরদিন সকালে থানায় গিয়ে জানাতে পারে যে, তার ছেলেকে ২৫পিচ ট্যাপেন্ডল ট্যাবলেট দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। রাজপাড়া থানার মামলা নং- ১১/১০৮, তারিখঃ ০৮/০৬/২০২১, সময়- ০০.০৫, ধারাঃ ৩৬(১) এর ২৯(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ দায়ের করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায় “অত্র এজাহারে উল্লেখ করা হয় যে, আসামী সজীব পুলিশের উপস্থিত টের পাইয়া দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে, জিজ্ঞাসায় সন্তোষজনক জবাব না পারায় সজীবের জব্দ তালিকায় বর্ণিত সাক্ষীদ্বয়সহ উপস্থিত লোকজনের সামনে দেহ তল্লাশী করে ট্রাউজার প্যান্টের সামনের ডান পকেট হইতে ২৫(পঁচিশ)টি হালকা গোলাপী ঞধঢ়বহঃধফড়ষ ট্যাবলেট উদ্ধার করে বাদী তার ডিজিটাল মিটার দ্বারা পরিমাপ করে”। সরজমিনে অনুস্থানে জানা যায় যে, সাক্ষী ১। মোঃ শান্ত (২০)পিতা-মোঃ মতিউর রহমান, ২। মোঃ সাব্বির হোসেন (৩০), মোবাঃ ০১৭৩০-০২৯৩৬৯, পিতা-মোঃ ফজলুল রহমান বাবু, উভয় সাং-বুলনপুর, থানা-রাজপাড়া, মহানগর রাজশাহীদ্বয়ের সামনে মোঃ সজীব হোসেনকে কোন প্রকার দেহ তল্লাসি করা হয়নি এবং কি পেয়েছে সেটাও দেখায়নি বলে স্বাক্ষীদ্বয় জানান।
(পরবর্তী পর্বে দেখতে চোখ রাখুন,) দৈনিক বাংলার অধিকার এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন।