রোকোনুজ জামান (রকি);বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতা তাকবীর ইসলাম (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামী একই সংগঠনের সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
প্রায় ৪ মাস পলাতক থাকার পর রউফ সোমবার ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ হাবিবা মন্ডলের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে চলতি বছর ১১ মার্চ রাতে বগুড়া শহরের সাতমাথায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ মার্চ দুপুরে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত তাকবীর ইসলামের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ মামলা করেন। আর ১৭ মার্চ সংগঠন থেকে আব্দুর রউফকে বহিস্কার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন। তিনি জানান, তাকবীর ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী আব্দুর রউফ সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিসেস হাবিবা মণ্ডল জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ায় নির্দেশ দেন।
তাকবীর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক জানান, প্রধান আসামী আব্দুর রউফসহ মোট ৬ আসামী বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন। তাদের মধ্যে আল আমিন নামের একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত থেকে রউফের আত্মসমর্পনের নথি পাওয়া গেলে আমরা তাকে রিমান্ড চাইব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তাকবীর নিহত হওয়ার ১০ দিনের মাথায় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফ গত ২৫ মার্চ উচ্চ আদালতে গিয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানী শেষে আদালত তাকে ৬ সপ্তাহের জামিন দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল মালেক জানান রউফ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। তিনি বলেন, তার জামিনের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতের সিদ্ধান্তে সেই সময়-সীমা পর্যায়ক্রমে বর্ধিত হয়।