প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। আমি খালেদ মোঃ আলী, অবঃ প্রাপ্ত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা। ইত্তেফাক, ইনকিলাব, সমকাল, মানবজমিন সহ স্থানীয় কিছু অনলাইন পাের্টালে কমলনগরে র্যাব আতঙ্কে বাড়ী ছাড়া ৩ পরিবার, গ্রেপ্তার ভয়ে ৩ পরিবার বাড়ী ছাড়া শিরােনামে একটি নিউজ প্রকাশিত হয় ।
নিউজ টি আমার দৃষ্টিগােচর হলে আমি জানতে পারি আমি এবং আমার পরিবারের উপর হামলাকারীদের পরিবারের সদস্য এরফানা খাতুন শীমু, নাছিমা আক্তার, আঃ গোফরান আমাকে সহ আমার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করতে কমলনগরে সাংবাদিক
ভাইদের কাছে মিথ্যা ও বানােয়াট তথ্য দিয়ে আমার পরিবার ও দেশের আইন-শৃংখলা কাজে নিয়ােজিত
র্যাব সদস্যদের নামে সাংবাদিক সম্মেলন করে৷
প্রকৃত পক্ষে ঘটনা এই যে, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ৷ চাকুরীর সুবাধে বিভিন্ন যায়গায় কর্মরত থাকায় এবং আমার ছেলে মেয়েরা ঢাকা ও চট্রগ্রাম পড়াশোনার সুবাদে আমার পরিবারের সবসময় বাড়িতে থাকা হয় নাই ৷ এরই সুযোগ এ গোলজার গং ও তার পরিবারের সদস্যগন আমার সম্পত্তি দখল নিতে বিভিন্ন সময় আমি সহ আমার পরিবারের উপর হামলা ও
মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। গােলজার হােসেন, মাদকাসক্ত মােক্তার হােসেন, আবদুল
গােফরান, হারুনুর রশিদ ও তাদের সন্ত্রাসী গং সহ বিভিন্ন সময় এরা আমার পরিবারের উপর অমানসিক নির্যাতন করেন৷ এর আগে কয়েকবার গোলজার হোসেন গং আমাকে অনেক শারিরীক নির্যাতন করেন এবং আমার পরিবারকে হত্যা করবে বলে নানান ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে ৷ এসব বিষয়ে সমাজে গণ্যমান্য বাক্তিদের সাথে এবং থানায় সালিশী বৈঠক হয় কিন্তু তারা মানি না বলে চলে আসে ৷ যাহা এলাকার চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন এবং এলাকাবাসীরা জানেন ৷
২০১৭ সালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মােঃ নিজাম উদ্দিন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে
গােলজার ও আমার মধ্যে একটি অঙ্গীকার নামা লিপিবদ্ধ হয় যে, গােলজার হােসেন আমার দখলে থাকা ভূমি নিয়ে কোনো সমস্যা করবে না । কিন্তু পরবর্তীতে গোলজার হােসেন ইউপি চেয়ারম্যান মােঃ নিজাম উদ্দিন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অমান্য করে
গােপনে তার ভাই মাদকাসক্ত মােক্তার হােসেন কে আমার দখলীয় নালিশি ভূমি দলিল করে দেন। গােলজার হােসেন
গােপনে তার ভাই মােক্তার হােসেন কে দলিল করে দেওয়ার পর থেকে আমার দখলীয় জমি দখলে নিতে
তার ভাইয়েরা আমার ও আমার পরিবারের উপর
হামলা ও মিথ্যা মামলা দিবে বলে আমাকে হয়রানী সহ আমার আর্থিক ক্ষতি করেন ।গত ০৯-০৭-২০২১ তারিখে আমি আমার ৩০ বছরের পুরনো বসতবাড়ীর পানি নিস্কাষনের পাইপ টি
পরিষ্কার করতে গেলে গোলজার হােসেন, মাদকাসক্ত মােক্তার হােসেন, হারুনুর রশিদ, নাছিমা আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা
৭-৮ জন আমাকে সহ আমার পরিবারের উপর পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র দা, লােহার রড, লাঠি দিয়ে
আমাকে সহ আমার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে আমাদেরকে আহত করে। পরে আহত অবস্থায়
আমাদেরকে স্থানীয় লােকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে ভর্তি করান এবং চিকিৎসা করান। যাহার ভর্তি নামঃ খালেদ
মােহাম্মদ আলী রেজি নংঃ ১০৮২৮/১৬, সালমা আক্তার রেজি নংঃ ১০৮৩৫/১৬ এবং বাকী সদস্যকে
প্রাথমিক চিকিৎসা করানাে হয়।
তারপর ১১-০৭-২১ইং তারিখে আমার মেয়ে সালমা বাদী হয়ে গােলজার হােসেন, মােক্তার হােসেন, আবদুল গােফরান, হারুনুর রশিদ, নাছিমা আক্তার, এরফানা খাতুন শীমুসহ আরাে অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন
কে বিবাদী করে কমলনগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার আলােকে আইন-শৃংখলা বাহিনী
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেন। কিন্তু হামলাকারীরা কমলনগরে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংবাদিক ভাইদের কে ভুল/মিথ্যা ও বানােয়াট তথ্য দিয়ে আমার পরিবারসহ আইন-শৃংখলা কাজে নিয়ােজিত র্যাব সদসদের সম্মান নষ্ট করতে মিথ্যা ও বানােয়াট নিউজ প্রকাশ করান। প্রকৃত পক্ষে র্যাবের টহল টিম তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, তারা কোন পক্ষ নেয়নি। কিন্ত আমার উপর হামলাকারীরা আমাদেরকে সহ র্যাব সদস্যদের নামে সাংবাদিকদের কে মিথ্যা ও বানােয়াট তথ্য দিয়ে নিউজ করায় আমি উক্ত নিউজের প্রতিবাদ করাসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন এবং প্রশাসনের কাছে প্রকৃত
ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি ৷
র্যাব-১১ সিপিসি-৩ লক্ষ্মীপুর এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন জানান, দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে র্যাবের টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। দু’পক্ষকে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিনের নিকট রেখে বলে দেওয়া হয়েছে আর যেন মারামারি না করা হয়। এবং উভয় পক্ষকে বলা হয়েছে থানায় গিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে। মুলত আহত পক্ষ আইনের আশ্রয় নিলে গ্রেফতার আতঙ্কে অপর পক্ষ তথা আসামী পক্ষ বাড়ি ছেড়ে লক্ষ্মীপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়ায়। আমাদের কাছে যখন খবর আসে যে-একজন আসামী লক্ষ্মীপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন আমরা তাকে গ্রেফতার করে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করি। এখানে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে যথাযথ কাজ করেছি। অতএব র্যাব আতঙ্কে নয়, মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়ায় আসামির ৩টি পরিবার। আর র্যাব কারো বাড়িতে গিয়ে কোন হামলা বা কোন রকম ভয় ভীতি প্রদর্শন বা কোন রকম ক্ষতি সাধন করেনি। (তাই র্যাব আতঙ্কে পালিয়ে বেড়ায় ৩টি পরিবার) শিরোনামে নিউজটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
কমলনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, থানায় মামলা হওয়ায় আসামি পক্ষ পালিয়ে বেড়ানোর সময় র্যাব তাকে গ্রেফতার করে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। তুচ্ছ এ ঘটনায় র্যাবের হস্তক্ষেপের বিষয়টি স্বাভাবিক নয় বলে যে মন্তব্যের কথা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। ক্ষতিগ্রস্থ যে কেউ র্যাবের সহযোগিতা চাইলে র্যাব তাকে সহযোগিতা করতেই পারে।