চাঁদপুরের হাইমচরে পত্রিকার হকার হোসেন গাজী নানা কৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতি হোসেন গাজীর সেই কৌশলের ১০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর আগেও তার নানা অভিযোগে হাইমচর প্রেসক্লাবে তাকে কানে ধরে উঠবস করানো হয়। পরে সে কখনো আর নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিবে না মর্মেও উপস্থিত সকলকে হাতে পায়ে ধরে সে যাত্রায় রক্ষা পায়।
১৫ই জুলাই বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দৈনিক চাঁদপুর সময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এস আর শাহ আলম। তিনি জানান, এই হোসেন গাজী শুধু হাইমচরই নয় বরং তার যন্ত্রণায় অতিষ্ট চাঁদপুর সদরের চান্দ্রা, হানারচর, লক্ষীপুর ও বালিয়া, রাজরাজেশ্বর, ইব্রাহীমপুরসহ বেশকিছু ইউনিয়নের মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিহা জানিয়ে ডি এস বির এক কর্মকর্তা বলেন হোসেন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জব্বর ঢালী দোকান এলাকার একটি মাদ্রার হুজুরদের কাছে আমার বিজিটিং কাড দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং আমার নাম করে তাদের কাছে বিশ হাজার টাকা দাবি করে, তারা আমাকে জানালে আমি মতলবের আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে অবগতি করি, তিনি আমাকে আশ্বাষ দেন বিষয়টি তিনি বিচার করবেন।
এবিষয়ে হাইমচর উপজেলার জাতীয় পএিকা ‘যায়যায় দিন ও চাঁদপুর খবর পএিকার প্রতিনিধি এবং হাইমচর বার্তা অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান- কথিত হকার নাম দারী সাংবাদিক হোসেন গাজী হাইমচরের তেলির মোড় এলাকায় আমার নাম বিক্রি করে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
অপর দিকে ফরিদগঞ্জের হাঁসা গ্রামের মাদ্রাসার একটি পুকুর ড্রেজিং মাধ্যমে ভরাট করার সময়ে হোসেন গাজী চাদাঁ দাবি করেন এবং ফরিদগঞ্জের একজন সাংবাদিকের নাম বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেন,
এসময়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃআলম ও ডাঃ সুমন মিলে কথিত সাংবাদিক হোসেন গাজীর কথা বার্তা অসংলগ্ন হলে তারা ফরিদগঞ্জের ওই সাংবাদিককে মোবাইলে কল দিলে জানতে পারেন ফরিদগঞ্জের সাংবাদিক এবিষয় কিছুই জানেননা,
বিষয়টি হোসেন গাজী প্রতারনা করছেন টের পেয়ে ঐস্হান থেকে পালিয়ে যান।
এবিষয়ে চাঁদপুর সময় পএিকার বার্তা সম্পাদক হোসেন গাজীকে জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুসুল্লী জানান, হোসেন গাজী একটা দালাল। সে বিভিন্ন সময়ে ৭/৮ জন সাংবাদিকের নেতা সেজে নানা অজুহাতে টাকা দাবী করে। কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাকে না ডাকলেও সে উপদ্রব হিসেবে এসে হাজির হয় এবং পত্রিকাসহ ১০/২০ টি অনলাইনে নিউজ উঠিয়ে দিবে বলে মোটাদাগে চাঁদা দাবী করে। অনেক সময় মান-সম্মানের ভয়ে তাকে কিছু টাকা দিয়ে বিদায় করি।
হানারচরের এক লোক জানান, হোসেন গাজী নিজের ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে এবং ২/৪ লাইন লিখে আমাদের কে নিউজ করেছি বলে জানিয়ে প্রতারনা করে। পরদিন পত্রিকার কাটিং বা অনলাইনের লিংক চাইলে সে দিতে ব্যর্থ হয়।তাছাড়া এক লোক একাধিক অনলাইনের প্রতিনিধি কিভাবে নিজেকে দাবী করে তা আমার বোধগম্য নয়। এর প্রতারনা বন্ধে সাংবাদিক মহলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
এদিকে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হাইমচরের বাসিন্দা হোসেন গাজীর সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, আমি সাংবাদিক পরিচয় দেই না কোথাও। ভালো সম্পর্ক থাকায় লোকজন আমাকে সাংবাদিক ভেবে পত্রিকায় নিউজ উঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। যেহেতু পত্রিকার লাইনে আমার একটু যোগাযোগ আছে। তাই আমি অনুরোধ করে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে মানুষের অনুরোধের রিপোর্টগুলি প্রকাশ করাই। এর বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে কেউ যদি আমাকে খুশি মেনে কিছু টাকা দেয়। আর এই টাকা নেওয়া যদি আমার চাঁদাবাজি হয়, তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।