গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বাড়ার সাথে সাথে পুনরায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তিস্তা নদীর প্রায় ১৫ টি পয়ন্টে। বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে দুই পাড়ের মানুষজন। এ অবস্থায় সরকারি তেমন কোনো পদক্ষেপ তবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। রাজারহাট উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে আগ্রাসী আকার ধারন করেছে এই নদী। গত এক সপ্তাহের ভাঙ্গনে তিস্তার তীরবর্তী ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ, বুড়িরহাট, বগুড়াপাড়া চরগতিয়াশাম,বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরহাট,রামহরি ডাংরারহাট,গাফুর হেলানসহ অন্তত ১৫টি পয়েন্টে প্রায় দেড় শতাধিক ঘর বাড়ি ও আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ সরকারি বেসরকারি অসংখ্য স্থাপনা। ভিটে মাটি হারানো পরিবারগুলো স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই বর্ষা মৌসুমে আরো শত শত পরিবার ঘর বাড়ি হারানোর আশংকা রয়েছে।
তিস্তা ভাঙ্গন রোধে সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত ঘর বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিস্তার তীরবর্তী ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার রাজিব বলেন,তিস্তা নিয়ে সরকারের মহাপরিকল্পপনার কারণে আলাদা ভাবে বরাদ্দ নেই। তবে সরকারী প্রতিষ্ঠান রক্ষার্থে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে।