দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানায় ১ নং বেলাইচন্ডী ইউনিয়নের সোনাপুকুর গ্রামের মন্ডলপাড়া, কোরনীপাড়া ও মুন্সিপাড়ার চলাচলের একমাএ গ্রামীণ সড়কে ইট বিছানো না থাকাতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় এলাকার কয়েক সহস্রাধিক মানুষ। রাস্তাটি হলো মন্ডলপাড়া ওয়াক্তিয়া মসজিদ থেকে পাকা সড়ক পর্যন্ত। সড়কটির অবস্থা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। প্রায় ৩০০- ৪০০ মিটার কাঁচা সড়কটি ইট বিছানো না থাকায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁদা পানিতে চলাচলকারী মানুষকে জনদুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। ফলে যানবাহন তো দূরের কথা মানুষের পায়ে হেঁটে চলতেও পোহাতে হয় নানান ভোগান্তি।
বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তা গুলোর করুণ অবস্থা দেখার যেন কেউ নেই। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় সহস্রাধিক মানুষের চলাচল এ সড়কে। বেহাল দশার কারণে বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কগুলো দিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ চলাচল করছেন। অন্যদিকে এলাকার মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে ইট বিছানোর দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাঁচা রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। প্রচণ্ড এ কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পা পিছলে পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হন।
এ ছাড়া এলাকাবাসীর শহরের সঙ্গে যোগাযোগের মূল এই সড়ক। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণের কারণে পুরো সড়কটি কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল এবং কিছু জায়গায় বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। ফলে মানুষকে জুতা খুলে পথ চলতে হচ্ছে। সড়কে কাদা থাকায় কোনো যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। আর যেসব যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছে, সেসব যানবাহন কর্দমাক্ত জায়গায় ও গর্তে আটকে পড়ছে। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে সময় মতো নিতে না পারায় বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তির আশায় বছরের পর বছর ভোগান্তির স্বীকার।
এলাকার জনসাধারণ স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, ১নং বেলাইচন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় মেম্বারসহ জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।