আল-আমিন,নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নেত্রকোণা সীমান্তে গরু-মহিষ সহ ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য আটকের ঘটনা প্রায়ই ঘঠে থাকলেও এবার ঘটেছে তার উল্টো!
সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচারকালে ৩ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৯’শ কেজি বাংলাদেশী সুপারি সহ এক চোরাচালানিকে আটক করেছে কলমাকান্দা থানা পুলিশ।
কলমাকান্দা থানার এসআই(নিঃ) মোঃ সাজেদুল হক জানান, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের নির্দেশনায় ২৮ জুন(সোমবার) সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার নাজিরপুর – ল্যাংগুড়ার মধ্যবর্তী এলাকা হতে ২৮ বস্তায় মোট ৯’শ কেজি বাংলাদেশী সুপারি আটক করে। এসময় মোঃ শহীদুল ইসলাম নামে এক চোরাচালানিকে আটক করতে সক্ষম হন।
আটক শহীদুল ইসলাম উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের মোঃ আছর আলীর সন্তান। ফুলবাড়ি বাজারের একজন কসমেটিকস ব্যবসায়ী।
এব্যাপারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে আদালতে সোপার্দ করেছে বলে জানান, কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। চোরাচালান বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান, ওসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
জানা যায়, ভারতের সীমান্তবর্তী মেগালয়, আসাম, গৌহাটী ও ত্রিপুরা রাজ্যের পান পিপাসুদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ‘জিল সুপারি’ বা ‘গুতকা’ তৈরীর প্রধান উপাদান বাংলাদেশী এই পঁচা সুপারি।
পক্ষান্তরে বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকা ভারতীয় শ্যাম্পু, সাবান সহ বিভিন্ন প্রসাধনী, চকোলেট, বিস্কুট, হরলিক্স, বেবিফুড, এলাচি, চা-পাতা, চিনি, দারুচিনি, জিরা, মসুর ডাল, ইলেকট্রনিক সামগ্রী,বাসমতী চাল, শাড়ি,প্যান্ট, থ্রি-পিস সহ বিভিন্ন পণ্যের যোগানদাতা রাজ্যগুলোর মহাজনদের খুশি রাখতে বাংলাদেশী বিশেষ এই সুপারি ভারতে পাচার করে থাকে চক্রটি।
ময়মনসিংহের শেরপুর-জালপুর থেকে এই সমস্ত সুপারি সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চোরাই পথে ভারতে পাচার করে আসছে একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি চক্র।