নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
সরা দেশে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেয়া ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে আশ্রায়ন-২ পূর্ণবাসন প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আরো ২৫০টি জমি ও গৃহহীন পরিবারকে পূর্ণবাসিত করা হয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক কর্মসূচির উদ্বোধনের সাথে সাথে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের হাতে জমি ও ঘরের মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকালই সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রবিবার সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি যাতে সকলে বড় পর্দায় দেখতে পায় এবং ভূমিহীনদের মাঝে সুষ্ঠু ভাবে গৃহের দলিল হস্তান্তর করা যায় সে উপলক্ষে চিলমারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের মাঝে জমি ও গৃহের দলিল হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধনের পরপরই চিলমারীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে গৃহহীনদের মাঝে জমি ও গৃহের দলিল হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ আছমা চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম লিচু, চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, বীরমুক্তিযোগণ, ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ, স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ ও সুধী মহলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবার রহমান তার বক্তব্যে জানান, প্রথম পর্যায়ে চিলমারীতে ১২০টি পরিবারের মধ্যে ২ শতাংশ জমিসহ গৃহ প্রদান ও মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ আরো ২৫০টি ভ‚মিহীন পরিবারকে পূর্ণবাসিত করা হল।
তিনি আরও জানান, নদী ভাঙ্গনের কারণে চরাঞ্চলের চিলমারী, অষ্টমীরচর ও নয়ারহাট ইউনিয়নে কোন গৃহ দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রদান করা হয়নি। কায়েমাঞ্চলের রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে ৩৯ টি, রমনা ইউনিয়নে ১৩০টি এবং থানাহাট ইউনিয়নে ৮১টি পরিবারকে দ্বিতীয় পর্যায়ে পূর্ণবাসিত করা হলো।
অনুষ্ঠাণের প্রধান অতিথী চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চিলমারী উপজেলা অ’লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদের সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন , মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চোখ চিলমারীবাসীর প্রতি আছে জন্যই আমরা নদী বন্দর পাচ্ছি।
সুন্দরগঞ্জ – চিলমারী সেতু পাচ্ছি। এ এলাকার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।