বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও জিংক ধানের বীজ বিতরণ মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুলিয়ারচরে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা মরদেহটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর নবীনগরে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত কুলিয়ারচরে মেসার্স সালমান এন্টারপ্রাইজের উদ্বোধন সিরাজদিখানে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উপজেলা পরিষদে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলো বিজয়ীর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক  ঠাকুরগাঁও পাক হানাদারমুক্ত দিবস আজ ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রইছ উদ্দীন সাজু মাষ্টার কে কুপিয়েছে দূর্বৃত্তরা ব্যস্ত প্রবাস জীবনে আমিরাতে বাংলাদেশ লেডিস ক্লাবের বাৎসরিক বনভোজন ও পিঠা উৎসব ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত অতিক্রমকালে বাংলাদেশী যুবক গ্রেফতার ঠাকুরগাঁওয়ে অনুর্দ্ধ-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন চিন্ময় কৃষ্ণদাস এর মুক্তির দাবিতে হামলার ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা : গ্রেফতার-২৩
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

বিরামপুরে হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী পালকি – দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ৪০১ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১, ৭:৩২ অপরাহ্ণ

এসএম মাসুদরানা রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বিরামপুরে হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী পালকি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন বিয়ে করে নব-বধূরা পালকির পরিবর্তে মাইক্রোকার এ চরে শ্বশুর বাড়ি যায়, পালকিতে আর তারা যায় না এখন । চোখে দেখা যায় না সেই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন এ পালকি। এই পালকি যেন রূপকথার কল্প কাহিনী হয়ে গেছে। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যানবাহনের যুগে হারিয়ে গেছে হাজার বছরের গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যের ধারক ‘পালকি’। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের পালকি এখন আর দেখা যায় না। এক সময় গ্রামের বিয়েগুলোতে বর-বধুকে আনানয়ের অন্যতম বাহন ছিল পালকি। বাংলার সবুজ শ্যামল মেঠো পথের এক সময়ের নিত্যদিনের বাহন ছিল এ পালকি। পালকির সঙ্গে মিশে ছিল মধুময় এক স্বপ্ন। গায়ের পথে পালকি করে নব-বধুকে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখারর জন্য গ্রামের ছোট বড় ছেলে-মেয়েরা রাস্তায় এসে ভিড় করতো আর বাড়ির বৌ-ঝিয়েরা বাড়ির ভিতর থেকে উঁকি-ঝুকি মারতো। পালকির মধ্যে বসা বৌকে দেখে তারাও হারিয়ে যেত কল্পনার রাজ্যে। ছয় বেয়ারা পালকি কাঁদে নিয়ে ছন্দ তুলে বৌকে নিয়ে বাংলার শ্যামল মেঠো পথে চলত। তখন গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য্য অনেক বেড়ে যেত। সাজানো-গোছানো পালকি করে আগে কার দিনে নববধু বাপের বাড়ি যেত। এ যুগের বধুরা আর পালকিতে লজ্জা রাঙা মুখে শ্বশুর বাড়ি যায় না। আমাদের সেই শ্যামল বাংলা, সেই মেঠো পথ, নতুন বধু সবই আছে কিন্তু যান্ত্রিক যুগে শুধু নেই কেবলমাত্র পালকি। পালকির ব্যবহার কিভাবে কখন এদেশে শুরু হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।

 

তবে মোঘল ও পাঠান আমলে বাদশাহ, সুলতান, বেগম ও শাহাজাদীরা পালকিতে যাতায়াত করত বলে জানা যায়। ইংরেজ আমলের নীলকররা পালকিতে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করত বলে জানা যায়। আর সে জন্যই পালকি অভিজাত শ্রেণীর বাহন হিসেবে গন্য করা হত। পালকি দেখতে অনেকটা কাঠের বােরে কাঠামো। দৈর্ঘ্য ৬ ফুট প্রস্থে তার অর্ধেক কাঠামোটি লম্বা দু’পাশে বাঁশের সাহায্যে গাঁথা। পালকির উপরে দামী কাপড় দ্বারা মোড়ানো থাকত। তৎকালীন বাঙ্গালীর সংস্কৃতিতে পালকির অবস্থান ছিল সু-দৃঢ়। আগের দিনে বিত্তশালী পরিবার গুলোতে নিজস্ব পালকি ও বেয়ারা থাকত। আর নিম্নবিত্তরা তাদের বৌ-ঝিদের আনা নেয়ার জন্য ভাড়া করত পালকি। অন্য সব কাজে পালকি ব্যবহার হলেও বিয়ে-সাদিতে পালকির ব্যবহার ছিল অপরিহার্য্য। নববধুকে নিয়ে বেয়ারারা নানা সুখ-দুুঃখের গান গেয়ে দুলকি তালে চলত পালকি। বিবর্তনের ধারায় সব কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে বর্তমানে রাজা,বাদশা নেই, তাই পালকি ও বেয়ারাও নেই। বর্তমান যুগের নববধুরা পালকিতে চড়ে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার স্বপ্ন দেখে না। তারা জাকজমক ভাবে সাজানো প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসে চড়ে শ্বশুর বাড়ি যায়। তবে সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের নতুন প্রজন্মরা পালকি নামক মানুষের ঘাড়ে চড়ে বসা কোন বাহনের কথা বই প্রস্তকে পড়বে এবং লোক শিল্প যাদুঘরে গিয়ে সাজানো গোছানো কৃত্রিম পালকি দেখবে। বিরামপুরের বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে আগের দিনে পালকির প্রচলন ছিলো। গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছাড়াও বিয়েতে অন্যতম বাহন ছিলো এই পালকি। পালকি উপজেলার কোথাও এখন আর দেখা যায় না। বর্তমানে পালকির প্রচলন না থাকায় এ পেশার সাথে জড়িতরা জীবন-জীবিকার তাগিদে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!