দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে সরকার। একইভাবে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণের দাবি জানিয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।
বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক জানান, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য জনসংখ্যা অনুপাতে ২ হাজার ২৫৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ৫ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দিতে হবে, যা দিয়ে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণ করতে হবে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জন্য চলমান প্রকল্প ও অন্যান্য খাতে ১৫ হাজার ৫৪ কোটি ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ২৯০ কোটি ৮ লাখ টাকা, যা মোট প্রকল্প বরাদ্দের ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাস দেখানো হয়েছে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ। সেই হিসাবে বরাদ্দ থাকার কথা ছিল ১ হাজার ৭৭৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার।
অন্যান্য দাবি তুলে ধরে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, রথযাত্রায় এক দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে। হিন্দু ধর্মীয় বিধিবিধানের কোনো ধরনের পরিবর্তন করা যাবে না, করতে দেয়া হবেও না।
সংবাদ সম্মেলনে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ ও ‘বাঁচতে শেখা’ নামে দুটি এনজিওকে হিন্দু ধর্ম ও সমাজবিরোধী আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি তোলা হয়।
এছাড়া, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে একজনকে পূর্ণ মন্ত্রী নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।
আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে হিন্দু সম্প্রদায় সারাদেশের প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব।
কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সহ জেলা উপজেলার যুব মহাজোট ও ছাএ মহাজোট এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।