মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে লকডাউনেও মেম্বার প্রার্থী ও মসজিদ কমিটির সভাপতির যোগসাজসে এক নাবালিকা মেয়ের বাল্যবিবাহ সংঘঠিত হয়েছে।
গত ২৪ রমজান( ৩০ এপ্রিল) শুক্রবার উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গোয়ালবাড়ী এলাকায় এ নাবালিকা মেয়ের বাল্যবিবাহ সংঘঠিত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, শ্রীনগর উপজেলার হাসাড়া সমেরপাড়া গ্রামের দুবাই প্রবাসী শেখ মিজানুর রহমান মুকুলের স্ত্রী সিরাজদিখান উপজেলার ঘনশ্যাম পৃুর গ্রামের রহিম শেখের মেয়ে কিরন আক্তার রিতা( রাহিমা) গত ১ বছর পূর্বে পরকীয়ার বিষয় নিয়ে স্বামীর সাথে মনমালিন্যে করে তার নাবালিকা মেয়ে ফারজানা আক্তার মারিয়া(১৬) ও ছেলে ঈশান( ১২) কে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়। ঘটনার আগে পরে স্ত্রী তার স্বামী মুকুলকে কোন কিছু না জানিয়ে ঘনশ্যামপুর গ্রামের ইব্রাহীম মৃধা আল আকসা জামে মসজিদের সভাপতি মেম্বার প্রার্থী রমিজ উদ্দিনের যোগসাজসে স্ত্রী রিতা তার ক্লাশমেট একই এলাকার রব শেখের ছেলে গ্রীস ফেরত রমজান শেখ( ৩৫) এর সাথে মসজিদের ইমামের দ্বারা নাবালিকার বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করে। নাবালিকা মেয়ে(১৬) হাঁসাড়া কালি কিশোর স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। তার জন্ম তারিখ ৪ এপ্রিল ২০০৫ সাল।
এব্যাপারে নাবালিকার মেয়ের বাবা শেখ মিজানুর রহমান মুকুল জানায়, আমি আমার মেয়ের ১৮ বছর হলে বিয়ে দিব। কিন্তু আমার স্ত্রী রিতা আমাকে না জানিয়ে লোভে পড়ে গ্রীস ফেরত বয়স্ক ছেলের সাথে রমিজ ও আমার শ্বাশুরী রাহিমার যোগসাজসে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিয়েছে। আমি এব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
এব্যাপারে ঘনশ্যামপুর ইব্রাহীম মৃধা আল আকসা জামে মসজিদের সভাপতি মেম্বার প্রার্থী রমিজ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যা আমি বিয়ের দিন ছিলাম। আপনারা লেখেন, দেইখেন আমার যাতে কোন ক্ষতি না হয়।
এব্যাপারে নাবালিকা মেয়ের মা কিরন আক্তার রিতা ( রাহিমা) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশ ফেরত ভালো ছেলে পেয়েছি তাই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি এ সুযোগ হাত ছাড়া করা যায়না।