শ্রীনগরে পিতার ছুরিকাঘাতে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকাল ৪.৩০টার সময় শ্রীনগর থানা গেটের দশ গজ সামনে এই খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক বাবাকে গ্রেপ্তার করেছেন।
পুলিশ জানায়, শ্রীনগর থানার গেটের অবজিটে ফাহাদ স্টোরের মালিক গিয়াস উদ্দিন (৫৮) তার ছেলে রিমন (৩০) কে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা রিমনকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায় সোমবার বিকালে রিমন তার বাবার ব্যবসা চায়ের দোকানে এসে টাকা চাইলে বাবা টাকা দিতে অস্বীকার করে যার দরুন ছেলে রিমন বাবা গিয়াসউদ্দিনকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। উপায় না দেখে গিয়াস উদ্দিন চায়ের দোকানের লেবু কাটার চাকু দিয়ে ছেলের বুকে আঘাত করে। লিমন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার বাবা ও স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও রিমন শেষ রক্ষা পাইনি বলে জানান। হাসপাতালের ভিতর মৃত্যূর কোলে ঢলে পড়ে। পুলিশ হাসপাতাল থেকে গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে।
গিয়াস উদ্দিনের প্রতিবেশীরা জানায়, নিজের দোকানের পেছনেই তার বাড়ি। গিয়াস উদ্দিনের বাবার নাম মৃত শফিউদ্দিন। রিমন ছোট বেলা থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছোট। প্রায় দিনই সে দোকানে আসতো। মতের অমিল হলেই সে বাবা গিয়াস উদ্দিনকে মারধর করতো। মাঝে মাঝে বাড়িতে মায়ের গায়েও হাত তুলতো রিমন। গিয়াস উদ্দিন ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিদেশ থেকে আয়করা সমস্ত টাকা ব্যয় করেছেন বলে স্থানীয়রা দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা বলেন,রিমন অনেক দিন যাবত মানসিক ভারসাম্যহীন,বিভিন্ন সময় মা বাবাকে মারপিট করতো, বাবার জীবনের সমস্ত আয় রিমনের পিছনে ব্যয় হয়,শেষ সম্বল বলতে একটি মাত্র চায়ের দোকান তাও রিমনের কারনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বাবাকে আটক করা হয়েছে। শ্রীনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।