ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৮ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের সাগুনী গ্রাম নামক স্থানে সালিশ বৈঠকের নামে নিরাপদ চন্দ্র রায় নামে এক যুবককে নির্যাতন করার অভিযোগ।
জানা যায়,গত শুক্রবার সাগুনী গ্রামের জসন্ত রায়ের ছেলে নিরাপদ চন্দ্র রায়কে একই গ্রামের ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আমাসু রায় ধরে নিয়ে গিয়ে নিরাপদ চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ বিহীন মিথ্যা অপবাদ তান্ত্রিকের আখ্যা দিয়ে সালিশ বৈঠকের নামে অমানবিক মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন।
ঐ ইউপি সদস্য আমাসু রায়,অধির রায়,শ্যামল চন্দ্র রায়,বিশ্ব নাথ রায়, তপন রায়,মিলন রায়,কমলেশ রায়।মারপিট ও নির্যাতনের করে নিরাপদ রায়কে।
নির্যাতনের এক সময় নিরাপদ রায় অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায় এতে ক্ষেন্ত হননি ইউপি সদস্যরা। মারপিটের সাথে বলা হয় তাকেে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি ও জিম্মি করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা।
নিরাপদ রায় দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান- মানুষের মলমুত্র আমাকে খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিত যুবক নিরাপদ রায়।
সরেজমিনে দেখা যায়,বর্তমানে নিরাপদ রায় গুরুত্বর আহত হয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে নিরাপদ রায় বলেন,আমাসু মেম্বার আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সালিশ বৈঠকে বসায় সেখানে অধীর রায়,শ্যামল চন্দ্র, বিশ্বনাথ, তপন রায়,মিলন রায়,কমলেশ আমাকে মারধর করে এবং ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর নেন। আমি আতংকে হয়ে আছি, নিরাপদ রায়ের ঘরের বারান্দা ভাংচুর করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আমাসুর সাথে কথা বলতে গেলে সে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।
এবিষয়ে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।