কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ১নং ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকারের বিরুদ্ধে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের এলজিএসপি ও এডিপির বরাদ্দকৃত অর্থের অনিয়মের অভিযোগ করেছেন অত্র পরিষদের সদস্যগন। গত ২-০৫-২০২১ইং বিভাগীয় কমিশনার বরাবর এই লিখিত অভিযোগ করেন ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ সদস্য।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের এলজিএসপি ও এডিপির বরাদ্দকৃত অর্থ ইউপি সদস্যগনের সাথে কোনরুপ মিটিং না করে একাই ওয়ার্ড সভার রেজুলেশন করে নাম মাত্র প্রকল্প দেখিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট দাখিল করেন যা নিয়ম বহির্ভূত।এছাড়াও উক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ কোন প্রকল্পে কিভাবে কাজ করেছেন সে বিষয়েও কিছু জানেন না অভিযোগকারী ৯ ইউপি সদস্য।
২০২০-২০২১ অর্থ বছরে অসহায় ও দুঃস্হ পরিবারের মাঝে ৪৬৪ টি ভিজিডি কার্ডে মাত্র ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। এবং ১২০ টি ভিজিডি কার্ড থেকে অসহায় ও দুঃস্হদের নাম বাদ দিয়ে স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য হারুন মিয়া দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, চেয়ারম্যান রবিন্দ্রনাথ কর্মকার এতোই প্রভাবশালী যে গত ৫ বছরে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একই প্রকল্প একাধিকবার রেজুলেশন করে ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে অর্থ তুলে আত্মসাৎ করেছেন অথচ ইউনিয়নে অসংখ্য ব্রিজ কালভার্ট ভেঙ্গে পরায় সাধারণ জনগন চরম ভোগান্তিতে চলাচল করছেন।
এব্যাপার চেয়ারম্যান রবিন্দ্রনাথ কর্মকার বলেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন।প্রকল্প পাশে তাদের সবার সই রেজুলেশন খাতায় আছে।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম এর মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তা রিসিভ হয়নি।
ম
তাং ০৬/০৬/২০২১