কুষ্টিয়া শহরের আড়–য়াপাড়া ভোলানাথ লেনে গত ১ জুন বিকাল ৬:২৩
টায় ভয়েজ অব কুষ্টিয়া নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে ইবি থানার
পাটিকাবাড়ির নলকুলা গ্রামের মুন্সী মকলেসুর রহমানের ছেলে মুন্সী শাহিন
আহমেদ জুয়েল সাংবাদিক সমাজকে ‘কুত্তা সাংবাদিক’ বলে সাংবাদিকদের হেয়
প্রতিপন্ন করে।
সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে কলংকিত করতে জনৈক শাহিন
আহমেদ জুয়েল নিজ কন্ঠে সাংবাদিকদের ‘কুত্তা’ বলে আখ্যায়িত করে।
যা তথ্য প্রযুক্তির উন্মুক্ত জগতে দেশ বিদেশে প্রচারিত হওয়ায় সাংবাদিক মহল
পেশাগতভাবে দারুন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয়
প্রতিপন্ন হয়েছে।
সাংবাদিককে জাতির বিবেক ও রাষ্ট্রের ফোর্থ ষ্টেট খ্যাত
সাংবাদিকতার গর্বিত একজন সদস্য হিসাবে আমি উক্ত প্রচারিত সংবাদে
সংক্ষুব্ধ হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে এজাহার দাখিল
করছি বলে দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, বিএমএফ
টেলিভিশন ও জাতীয় দৈনিক মার্তৃভূমির খবর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি,
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সদস্য, কুষ্টিয়া
জেলা ইউনাইটেড অনলাইন প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এসএম ওয়ালিদুজ্জামান শুভ, দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান।
মামলায় দৈনিক পদ্মা গড়াই পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কুষ্টিয়া
প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সদস্য সালমান শাহারিয়ার
রাজু, দৈনিক আরশীনগর পত্রিকার সহ-সম্পাদক, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও
সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সদস্য রাকিবুল হাসান, দৈনিক মুক্তির বার্তার সম্পাদক, কুষ্টিয়া
প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সদস্য চাঁদ আলী তাদের নিজ
নিজ মোবাইলে উক্ত ফেসবুক আইডি থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই লাইভ দেখেছেন
এবং শুনেছেন বলে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলার সাথে ফেসবুকে প্রচারিত
লাইভের সিডি ও প্রিন্ট কপি প্রদান করা হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বিরুল আলম জানান, আমি
এজাহার পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য গত জাতীয় নির্বাচনের সময় সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের
নলকুলা গ্রামে কুষ্টিয়ার উন্নয়নের রূপকার জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ
এমপির বিপক্ষে বিএনপির প্রার্থী জাকির সরকারের পক্ষে ভোটারদের মাঝে টাকা
বিতরন কালে ব্যাগভর্তি টাকা সহ স্থানীয় জনগনের গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে
কুষ্টিয়া শহরে পালিয়ে আসে শাহিন আহমেদ জুয়েল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিদেশে
চাকুরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল ও ইবি থানায় কমপক্ষে ১০/১৫টি মামলার আবেদন পড়ে আছে বলে
জানা গেছে।