সেপাল নাথ, ছাগলনাইয়া ফেনী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অর্জনের পাল্লা, সুনামের খাতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সময়ে সময়ে আলোচনা- সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় প্রশ্নবিদ্ধ করি আমরাই। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো ছায়েদুর রহমান মতো মানবিক পুলিশ অফিসার।
যারা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পরও সাধারণ মানুষের খোঁজ নেয়া কয়জনই বা করার সুযোগ পান। কথাগুলো যার সম্পর্কে বলা হচ্ছে তিনি হলেন ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক ছায়েদুর রহমান পিপিএম। বর্তমানে তার নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যাচ্ছেন ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের অন্যসব পুলিশ সদস্যরাও। ফেনী জেলার সবচেয়ে ডেঞ্জার এলাকা হিসেবে পরিচিত ঘোপাল। বেপরোয়া এই এলাকাকে শান্ত করতে অনেকে হয়েছে নাজেহাল। এই অশান্ত ঘোপালকে শান্ত করার জন্য দূত হয়ে এসেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা ছায়েদুর রহমান পিপিএম।
ইদানীং আশেপাশে অনেক জায়গা মাদক কারবারি সংখ্যা বেড়েছে। ঘোপাল ইউনিয়ন ও শুভপুর ইউনিয়ন বাসীকে শান্তিতে রাখতে ছায়েদুর রহমান পিপিএম নিজেই রাতে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করেছে।
ঘোপাল ইউনিয়নে বাজারে বাজারে টল পুলিশের ব্যবস্থা করেছে। ঢাকা-চট্রগ্রামে হাইওয়ে অনেক যাত্রী গভীর রাতে বাড়ী ফিরে। এসআই ছায়েদুর রহমান পিপিএম দৈনিক বাংলার অধিকারকে জানান, “ঐসব যাত্রী নিশ্চিন্তভাবে বাড়ী ফেরার দায়িত্ব পুলিশের।৷ তাই ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সব সময় সেবা দিতে প্রস্তুত।
পূর্বে মাদকাসক্ত ও মাদক কারবারি সংখ্যা ছিল বেশী। ইদানীং অনেক কমেছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ। অত্র জনপথের মাদকের আতংক এখন এসআই ছায়েদুর রহমান পিপিএম। হাইওয়ে, বিভিন্ন রাস্তায়, নিরব এলাকায় সব স্থানে সিভিল ড্রেস পরিধান করে ডিউটি করেন ছায়েদুর রহমান পিপিএম। তিনি দৈনিক বাংলার অধিকারকে আরো জানান, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ফেনীর পুলিশ সুপার খন্দকার নূর নবীর আদেশে ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম এর সহায়তা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে ঘোপালকে মাদকমুক্ত করা আমার লক্ষ্য।
অত্র জনপথের কিশোর গংরা যাতে মাথাছাড়া দিয়ে না উঠতে পারে তাই প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ২০৪১ সালে আমরা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সে উন্নত বাংলাদেশের আমরাই হবো উন্নত পুলিশ।
ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্র প্রায় একবছর ধরে প্রতিমাসে তিনি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসতেছে।ঘোপাল নয় শুধু মিরসরাই বারইয়ারহাট শুভপুর সহ আশেপাশের মাদক কারবারির আতংক এসআই ছায়েদুর রহমান পিপিএম।
এসাআই ছায়েদুর রহমান পিপিএম এর মানবিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, ভবিষ্যতেও পুলিশ এমন মানবিক আচরণ করবে সাধারণ মানুষের সাথে।