চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উচিতারবিল এলাকায় বনভূমিতে নির্মিত বনজায়গীরদারদের দীর্ঘ শত বছরের ভোগ দখলীয় জমিতে উচ্ছেদের নামে নিরীহ পরিবারের বসতভীটা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও বনজায়গীরদাররা জানিয়েছেন, ১৯৩৭ সালে সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ১৪৮ একর জমি বনবিভাগকে হস্তান্তর করা হয়। নদী ভাঙ্গা,গৃহহারা, ভীটেবাড়িহারা শতশত অসহায় পরিবার উক্ত জমিতে গৃহ নির্মান করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। তারা জমি বরাদ্দ পাওয়ার লক্ষে এবং বনভূমি প্রতিষ্ঠায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন। আদালত তাদের পক্ষে প্রাথমিক রায়ও প্রচার করেন। এরপরও কিছু কুচক্রি মহলের মিথ্যা তথ্যে প্রশাসনকে ভুল ববুঝিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে। তারা বলেন, আমরা অসংখ্য অসহায় পরিবার সন্তান-সন্ততিদের নিয়ে কোথায় যাব। কোথায় আশ্রয় পাব। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন, সেখানে আমাদের মত গরীব মানুষদের উচ্ছেদের কি প্রয়োজন আছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি পূর্বক হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার কামাল হোসেন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন এ দাবী তুলে ধরেন।