একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ। দীর্ঘ দিনের বহু ত্যাগ আর শত সংগ্রামের পটভূমির মধ্যে দিয়ে অবশেষে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরু করে স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্বের মাধ্যমে লাখ প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর জন্ম হয়েছিল এই মাটির ও দেশ, বাংলাদেশের।
রাষ্ট্রের পরিচয় তথা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে পেয়েছিল একটি জাতীয় পতাকা লাল সবজ।
সেই পতাকার ছায়াতলে সাত কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ ৫০ বছরে এখন প্রায় বিশ কোটি হয়েছে।
যেটিকে নিজ দেশের পরিচয় হিসেবে গৌরবের ব্যবহার করে আসছে বাংলার জনগণ ।
কিন্তু প্রায় সময়ে দেখা যাচ্ছে, কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র জাতীয় পতাকার ব্যবহার হচ্ছে একটি স্বাধীন দেশের মধ্যে।
আর এরই অংশ হিসেবে দেখা যায়,শিক্ষা নগরী রাজশাহীর নওদাপাড়ায় অবস্থিত একটি ষ্টার ইন্টারন্যাশনাল নামের হোটেলে সামনে দিন রাত ২৪ ঘন্টা পতাকা টাঙ্গিয়ে হোটেলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন হোটেল মালিক পান্না।
অবশ্য হোটেল মালিক পান্না হলেও ম্যানেজার রমিজ রাজা ও মার্কেটিং অফিসার ফয়সাল হোসেন রয়েছেন সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়,গত ২০১৮ সালের ২৬ জুন রাজশাহী মহানগর ডিবির অভিযানে হোটেল ষ্টার ইন্টারন্যাশনাল থেকে প্রায় ৮/৯ জন পতিতা ও খদ্দের আটক করে মানব পাচার মামলা দেয়া হয় হোটেল মালিক ও ম্যানেজার, মার্কেটিং অফিসারসহ বেশ কয়েকজনকে।
আর এই হোটেলের সামনে জাতীয় পতাকা টাঙ্গিয়ে হোটেলটি আবারোও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে রাজশাহী মহানগরীতে যা ইতিহাসের গল্প কে ভূষিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হোটেল মালিক পান্নার সাথে মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে পান্নার স্ত্রী জানান উনি একটু অসুস্থ এখন কথা বলতে পারবেননা।
পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে মার্কেটিং অফিসার ফয়সাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান – হোটেল ষ্টারের বর্তমান ম্যানেজার রমিজ রাজার নির্দেশেই পতাকা উত্তোলন করা হয়।
অবশ্য হোটেলের বর্তমান ম্যানেজার রমিজ রাজার সাথে ০১৭০৮৫৮৭৪৪০ নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি জানান – পতাকা উত্তোলনের নিয়ম আছে বলেই পতাকা টাঙ্গাই। প্রথমে হোটেলের পতাকা টাঙ্গানো হয় তার একটু নীচে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এদিকে সার্বিক বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান – নিসন্দেহে পতাকাবিধি লঙ্ঘন অপরাধ।
অন্যদিকে নওদাপাড়া এলাকার এলাকাবাসীর মধ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রভাষক বলেন- এই হোটেলে দেহ ব্যবসা প্রাকাশ্য চলছে। একটু পাহারা দেন সবই পাবেন।
এলাকাবাসীর মধ্যে আবু জামান নামের এক স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী বলেন – হোটেল ষ্টার আমাদের এলাকার এখন মিনি পতিতালয়।
রিটায়ার্ড পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবর রহমান বলেন – এহেন কর্মকান্ড নেই যে, এই স্টার হোটেলে হয়না।কিন্তু প্রশাষন নিরব কেন বুঝতে পারছিনা।
ইতিপূর্বে অবশ্য হোটেলের বর্তমান ম্যানেজার রমিজ রাজা ও ফয়সালের বিরুদ্ধে মার্কেট দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, অনৈতিক কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে এবং এদের নামে রয়েছে চুরির মত মামলাও।
চলমান –