বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মায়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
এবার সেই বিষয়েই চঞ্চল ও তার মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে আসিল লিখেন, প্রিয় চঞ্চল চৌধুরী এবং তাঁর গর্বিত জন্মদাত্রী মার কাছে আমি একজন বাংলাদেশি মুসলমান হিসাবে লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
সেই ছবিতে নেটাগরিকদের কু;রুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় অ;স্বস্তি প্রকাশ করে তার কড়া জবাবও দিয়েছেন তিনি। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও এর প্রতিবাদে বিভিন্ন পোস্ট ও ছবির দিয়েছেন।
আসিফ বলেন আমার আল্লাহ আমার আল কোরআন আমার নবী আমাকে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে ভালবাসার শিক্ষা দিয়েছেন। প্রিয় মাসীমার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।
কোটি মানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশের কৃতি সন্তান চঞ্চল চৌধুরীর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। আমাদের সবার পরিচয় একটাই, আমরা মানুষ, আশরাফুল মাখলুকাত। ভালবাসা অবিরাম…
পোস্টের শুরুতেই তিনি একটি হাদিস তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেন, প্রিয় নবী করিম মুহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) বলেছেন, যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যু;দ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়। সুনানে আবু দাউদ : ৫১২৩)।
তিনি আরও লিখেন,আমার প্রিয় ভাই বন্ধু চঞ্চল চৌধুরী বাংলাদেশের শুধু জনপ্রিয় একজন অভিনেতাই নন, এদেশের বিনোদনপ্রিয় মানুষের কাছে তিনি একজন আইকন ও বটে।
মা দিবসে চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসাবে আমি লজ্জ্বিত এবং অপমানিত। চঞ্চল চৌধুরী আমার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ট বন্ধু।
চঞ্চলের মতো এরকম হাজার হাজার ভাই বন্ধু আমার রয়েছে। আমরা সবাই গর্বিত বাংলাদেশি হিসেবে একই মাটিতে জন্ম নেওয়া ভাইয়ের মতো বেড়ে উঠেছি। এদেশের হাওয়া মাটি প্রকৃতি আমাদের প্রতিটি র;ক্তকণি;কায় বহমান।
বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উ;গ্র আর অ;সভ্য সাম্প্র;দায়িকতার বি;ষবা;ষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশ;ঙ্কাজ;নকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
যে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সাম্প্রদায়িক মন্তব্য দেখা মাত্রই রিপোর্ট করে তার আইডি উড়িয়ে দিতে হবে বলে মনে করি।
কঠোর এবং সঠিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে কোন উ;গ্র সা;ম্প্রদায়িক শক্তির বিরু;দ্ধে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। সব ধর্মের মানুষের রাষ্ট্রীয় মৌলিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।
আড়া;লে কলকাঠি নাড়ছে কেউ, তাদেরকেও তী;ক্ষ্ণ দৃষ্টির পাহারায় রাখতে হবে। মূর্খ উ;গ্র যে কোনো ধর্মের ধর্ম গা;ধাদের এখনি প্রতিহত করতে না পারলে এই জ্বলে ওঠা ক্ষণি;কের স্ফু;লি;ঙ্গ একসময় দা;বান;লে রূপ নিবে।
আমরা সচেতন হই কাউকে ছোট না করি।
