কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মেহেরপুরে কৃষকের পাকাধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন। (৫ মে) বুধবার বেলা সাড়ে ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত শহরের কায়েমকাটার মোড়ের কৃষক আসকার আলীর ২ বিঘা জমির পাকা ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিলো যুবলীগের নেতার্কমীরা।
কৃষক আশকার আলী বলেন, করোনাকালে অর্থের অভাবে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। তার পরে ২ বিঘা ধান লাগিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম পাকা ধান কিভাবে কাটবো। হাতে কোন টাকা পয়সা নেই। পরে জানতে পারলাম মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন যে সকল কৃষক অর্থের অভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না, তাদের ফসল কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছে নিজ দায়িত্বে।
আমি তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগ আপনার ফসল কেটে ঘরে তুলে দিবে। কথাটি শুনে খুশিতে মন ভরে গেলো। মেহেরপুর জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার ধান কেটে দিয়েছেন এতে আমি অনেক খুশি হয়েছি।
মানবতার ফেরিওয়ালা নামে যাকে মেহেরপুরবাসী চেনেএবং জানে তিনি হলেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।
ভাই কে ধন্যবাদ জানাই আমার এ অসহায় সময়ে বড় উপকার করে দেওয়ার জন্য।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, আমরা মেহেরপুর জেলা যুবলীগ, শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাঈনুল হোসেন খান নিখিল ভাই এর নির্দেশে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছি। শুধু তাই নয় এই করোনাকালে যাতে আমার পৌরবাসী সহ কোন কৃষক ভাই হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য আমার অক্সিজেন ব্যাংক তৈরি করেছি ।
সেই সাথে করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেলে তাদের দাফনের জন্য আমার একটি স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট তৈরি করেছি। আর কোন কৃষক যদি তার ফসল কাটতে না পারে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ধান কেটে ঘরে তুলে দিবো ইনশাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন কিছু মহল আছে কৃষকের ধান কাটার নামে ফটোসেশন করছে। উপরন্ত কৃষকের ধান কাটতে গিয়ে নষ্ট করে দিয়ে আসছে। আমি তাদেরকে বলবো এভাবে যুবলীগের নাম নষ্ট করবেন না। যুবলীগ সব সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুবলীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুর রহমান সাজু, ইয়ানুস আলী, রোকনুজ্জামান রোকন , শেখ সারাফতসহ যুবলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।