শনিবার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ফোরামে
সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি।
সভা থেকে মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বাংলাদেশের হেফাজতে ইসলামকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করার জন্য। এছাড়া হেফাজতের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে চিহ্নিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
ইতোমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কংগ্রেসের উভয়কক্ষের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেসম্যানকে হেফাজতে ইসলামের জঙ্গি তৎপরতা আলোকপাত করে অবিলম্বে সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত করার স্মারকলিপি প্রদানের প্রসঙ্গ বিস্তারিত উপস্থাপন করেন সংগঠনের নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার।
নিউ ইয়র্কসহ বিভিন্ন স্টেট পার্লামেন্ট এবং স্টেট গভর্নর কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ ঘোষণাপত্র, অভিনন্দন বার্তা এবং মার্কিন কংগ্রেসে এ উপলক্ষে রেজ্যুলেশন উত্থাপনের জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরগুলোতে যে ‘মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতির পাঁয়তারা’ চালানো হয়েছে তা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে সভায় মন্তব্য করা হয়।
শনিবার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ফোরামের ইফতার-পূর্ব এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান নেতারা।
এসময় ফোরামের নির্বাহী সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা মানিকের মৃত্যুতে সেই শূন্য স্থানে মাস্টার ইলিয়াস খানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সভা ও ইফতার মাহফিলে আরও অংশ নেন ফোরামের উপদেষ্টা রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, সহ সভাপতি জাফরউল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশীদ আনোয়ার বাবলু, ফোরামের কোষাধ্যক্ষ আলিম খান আকাশ, নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আওয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজামউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, রফিক আহমেদ, এ টি এম মাসুদ, এ টি এম রানা ও শাহ মাহবুব।