ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিযোগে শনিবার বিকেলে নেত্রকোণার পূর্বধলা থানায় এ অভিযোগ হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেত্রকোণা জেলা শাখার সহ-গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রতন এ অভিযোগ দায়ের করেন।
ধর্মীয় অবমাননা, সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ এনেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের এই সাবেক ভিপি নূরের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের হামলা-ভাংচুর এবং হেফাজত নেতা মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নূর ফেইসবুক লাইভে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন।
সেই ভিডিও বার্তার ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নূরের বিরোদ্ধে একের পর এক মামলা হতে শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোণায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের হল।
তার সেই বক্তব্যকে ঘিরে মামলা হতে শুরু করার পর ডাকসুর এই সাবেক ভিপি আরেকটি ভিডিও বার্তায় আগের ওই বিতর্কিত বার্তার জন্য ক্ষমা চান!
নেত্রকোণায় অভিযোগকারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহমুদুল হাসান রতন তার লিখিত অভিযোগে বলেন, নূর গত ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার ফেইসবুক থেকে লাইভে বলেছেন ‘কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না। যারা আওয়ামী লীগ করে তারা , চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজ,মাদক ব্যবসায়ী, চিটার,বাটপার।এদের কোনো ঈমান নাই।’
অভিযোগকারী রতন আরও বলেন, “নূরের এমন উস্কানিমূলক ও রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্যে শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই নয়, সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য নূরের কঠোর শাস্তি ও বিচার দাবি করেন অভিযোগকারী রতন।