গতকাল ২১ এপ্রিল বিকেল সোয়া ৫টার দিকে র্যাব-১৪ সিপিএসসি, টিটিসি, ময়মনসিংহ ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল মেজর আখের মুহম্মদ জয় এবং এএসপি তাসলিম হুসাইন এর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানাধীন বেলতলী বড় মসজিদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারি হেড চিত্তরঞ্জন দে কর্তৃক পরিবহন করার সময় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা বিপুল পরিমান থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, শাড়ী, সাবান, মেহেদী, চকলেট, বেটনোভেট ক্রীম, স্কিনসাইন ক্রীম, জিরা ও পণ্য বহনকারী ০৬ টি ট্রাক/কার্ভাডভ্যানসহ ১৮ জন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চোরাকারবারীরা হলো সোলাইমান কবির (৪০), হেড কারবারী চিত্তরঞ্জন দে (৫১), মোঃ মতিন (৩৬), মোঃ খায়রুল ইসলাম (২০), মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩০), মোঃ আকরাম (২০), মোঃ মিরাজ (৩০), মোঃ মমিন (৩২), মোঃ ইমরান (২৫), মোঃ রাজু মিয়া (৩০), মোঃ নজরুল ইসলাম (৪০), মোঃ মাহফুজুর রহমান (৪০), মোঃ কামরুল ইসলাম (২২), মোঃ রুবেল (৩৪), সুমন মীর (৩২), মোঃ হারেস (৪৭), মোঃ রাজু (৩২), মোঃ সাব্বির (২০) কে আটক করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত পণ্যের আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।
ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানাধীন বেলতলী এলাকা থেকে কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ শুল্কবিহীন পণ্যসহ ১৮ জন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করছে র্যাব-১৪।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় তারা দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে চোরাই পথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে এনে নিজ হেফাজতে রেখে বিক্রয় করে আসছিল বলে স্বীকার করে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি এর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চিত্তরঞ্জন দে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ ব্যবসা দেদারছে চালিয়ে আসছে। নানান সময়ে নানান প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে এধরণের ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিদের মদদে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে চিত্তরঞ্জন দে। ওইসব গডফাদারদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান অসংখ্য ভুক্তভোগীরা।
উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানায় মামলা রুজু পূর্বক আদালতের মাধ্যমে জেলহাজেতে প্রেরণ করা হয় চোরাকারবারীদের।