লক্ষ্মীপুরে পঁচানো সুপারিতে বিষাক্ত কেমিক্যাল, হাইডোজ, ক্ষতিকর রং মেশানোর দৃশ্য জেলার রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি, কমলনগর, চন্দ্রগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ পুরো জেলাজুড়ে প্রতিদিনকার ঘটনা।
পঁচা কালো সুপারি বিষাক্ত কেমিক্যাল, হাইডোজ ও ক্ষতিকর রং মেশানোর ফলে টকটকে কমলা রঙে আকর্ষণীয় করে ক্রেতা আকৃষ্ট করলেও এতে মানবদেহের কিডনি, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ পার্টস বিকল করে দেয়। চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরবতা পালন করছেন।
পুরো জেলাজুড়ে উন্মুক্ত স্থানে সুপারি পঁচানোর কারণে একদিকে যেমন বিষাক্ত দুর্গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে অপরদিকে ফুসফুসে মারাক্তক ক্ষতিসহ বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হয়।
বিষাক্ত পঁচা সুপারিগুলো বস্তায় ভরে রাতের অন্ধকারে ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ টি জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে তিনগুন চারগুণ বেশী মুনাফা লাভ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। কেমিক্যালযুক্ত সুপারি খেয়ে মারাত্মক রোগ ও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। ফলে ভয়াবহ জটিলতায় সাধারণ ভোক্তার স্বাস্থ্য অনিশ্চিত ও মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা সিভিল সার্জন আব্দুল গাফ্ফার সুপারিতে কেমিক্যাল, হাইডোজ ও বিষাক্ত রং দেয়ার কথা স্বীকার করলেও অদৃশ্য কারণে কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে জানালেন।