লাখাই উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে দুই সাংবাদিক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করায় লাখাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম এক সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে মালাউন বলে গালি গালাজ ও দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেছে।
জিডি কপিঃ
লাখাই উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে পদত্যাগকারী দুই সাংবাদিক হলেন স্থানীয় দৈনিক স্বদেশ বার্তা পত্রিকা ও জাতীয় দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা ও পানকৌড়ি নিউজের লাখাই উপজেলা প্রতিনিধি- সানি চন্দ্র বিশ্বাস ও হবিগঞ্জের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি সূর্য রায়।।
গত রবিবার বিকালে এই দুই সাংবাদিক সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা স্বেচ্ছায় লাখাই উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে পদত্যাগ করেন ।
পদত্যাগের আবেদনটি মেইলে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে পাঠান তারা।
জানা যায়, দুই সাংবাদিকের পদত্যাগের খবর পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ হলে লাখাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সোমবার বিকালে সানি চন্দ্র বিশ্বাস কে ফোন দেন।
ফোন ধরে সম্মান প্রদর্শন করে তাকে আদাব দেওয়ার সাথে সাথে বলেন, আদাব দিবে পরে,তুই এই কাজ টা করলে কিতা,তুই আমরারে কইয়া গেলে না,তুই পেপারে দিলে কারে জিগাইয়া,জিব্বা কাইটা দিমু মালাউনের বাচ্চা,এই মালাউনের বাচ্চা পেপারে দিলে কেরে??
এই থাকিস তুই লাখাই, লাখাই আছস নি তুই,থাকিস লাখাই, আমি লাখাই আইতাছি বলে রেগে ফোন কেটে দেয় তিনি।( মোবাইলে রেকর্ডকৃত ভাষ্য) ।
একজন প্রেসক্লাবের সভাপতির মূখ থেকে মানুষ কি আশা করতে পারে।
সূর্য রায় বলেন, আমার জানা মতে সে জামাত শিবির করে। তাছাড়া জামায়াত শিবিরের লোক প্রেসক্লাবে প্রবেশ করাচ্ছে।
তাই আমি স্বেচ্ছায় লাখাই উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে পদত্যাগ করলাম।
এ ব্যাপারে সানি চন্দ্র বিশ্বাস দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, উস্কানীমূলক গালিগালাজ ও প্রাননাশের হুমকি দেওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জিডি করেছি। লাখাই থানায় দায়েরকৃত জিডির নং ৭১২।
বর্তমানে লাখাই ও সিলেট জেলায় আমার কোন বিবাদ কারো সাথে নেই, যদি আমাদের উপর কোন প্রকার হামলা হয় এর দায় দায়িত্ব প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে নিতে হবে।