গত শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় আয়োজিত ‘জামায়াত-হেফাজত চক্রের বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে নেতারা এমন দাবি জানান।
তারা বলেন, হেফাজতের শীর্ষ নেতারা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সন্ত্রাসী অপরাধের শামিল
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, হেফাজত ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চায়।
অবিলম্বে মামুনুল হক-বাবুনগরীসহ হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হেফাজতের তাণ্ডব ও কর্মকাণ্ডে সে বিষয়টি অত্যন্ত পরিস্কার। তারা সুবর্ণজয়ন্তী বানচাল করার চেষ্টা করেছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন,যে প্রশাসন মাঠপর্যায়ের হেফাজত কর্মীদের গ্রেপ্তার করলেও গডফাদারদের এখন পর্যন্ত কেন গ্রেফতার করছে না এটা আমাদের বোধগম্য নয় বলে জানান ।
২০১৩ সাল থেকে আমরা ক্রমাগত ভাবে বলছি জামায়াত ও হেফাজতকে পৃথক দল কিংবা পরস্পরবিরোধী মনে করার কোনো কারণ নেই। হেফাজতের ১৩ দফা জামায়াতেরই পুরনো দাবি সকলের জানা ।
তাই জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের রাজনীতি অবিলম্বে নিষিদ্ধকরণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
ওয়েবিনারে আরও আলোচনা করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল প্রমুখ।