ছাত্রলীগ”এবং কিছুদিন পূর্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের দেশব্যাপী হরতাল,আন্দোলন এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের ভুমিকা নিয়ে কিছু লিখবো বলে মনোস্থির করেও বিভিন্ন কারনে আর লিখা হয়ে উঠেনি।
ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে দেশের জাতীয় পর্যায়ের কোন বিষয়ে মন্তব্য করাটা কতটুকু সমুচিন ছিল তা জানিনা তবে দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এটা আমার নাগরিক অধিকার হিসেবে বিবেচনায় ছিল।
এরমাঝেই জন্মস্থান কচুয়া উপজেলা আওয়ামী পরিবারের ঘরোয়া বিরোধ নিয়ে গতকয়েকদিন যাবৎ সামাজিক গণমাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসা, প্রতিহিংসাপরায়ন বিভিন্ন লেখালেখি দেখে বিভিন্ন ব্যস্ততার মাঝেও নিজের স্থিরতাকে ধরে রাখতে পারলাম না।
নিজের ব্যক্তগত মতামতের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে প্রানের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী পরিবারের কতেক অতিউৎসাহী সহযোদ্ধারা নেতৃত্বের লোভে অন্ধ হয়ে রাজনৈতিক অনধিকার চর্চা করতেছে যা ভবিষ্যৎ আওয়ামী রাজনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন হতে পারে।
কচুয়া উপজেলা আওয়ামী পরিবারে বর্তমান কচুয়ার সাংসদ ডঃ মহিউদ্দিন খান আলমগীর কিংবা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ডঃ সেলিম মাহমুদ সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় উপকমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মাঝেও কেনজানি গুটিকয়েক অসাধু,সুযোগসন্ধানী পল্টিবাজ লোকের নিজস্বার্থ চরিতার্থের জন্য পুরো আওয়ামী পরিবারকে লেজেগোবরে করে দিয়ে বারংবার ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করছে কিন্তু কোন এক অজানা কারণে কেন্দ্রীয় কিংবা দায়িত্বশীল অপরাপর নেতৃত্বের নিরবতা সত্যি আমাদের মতো শান্তি প্রিয় তৃনমুলের আওয়ামী লীগারদের ভাবিয়ে তুলেছে।
এতোবছর দল ক্ষমতায় থাকার সুবাদে যেখানে মাঠপর্যায়ের দুর্দিনের নির্যাতিত নেতৃত্ব সর্বোচ্চ মূল্যায়িত হওয়ার কথা কিন্তু তা না হয়ে প্রায়শঃক্ষেত্রে তার বিপরীতটা ঘটছে।ঝরে যাচ্ছে দলের নিবেদিত প্রানগুলো।
ক্ষমতার স্বাধ চিরন্তন হয়না এটা জানার পরও আপনারা যারা আজ ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে সংগঠনের সুন্দর ভবিষ্যত চিন্তা না করে নিজের বলয়কে শক্তিশালী করার জন্য প্রায়শঃ অসাংগঠনিকভাবে রাজনৈতিক চর্চা করে যাচ্ছেন তাদেরকে বলবো মনে রাখবেন ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবেনা। এর হিসাব একদিন আপনাদের জনতার আদালতে দিতে হবে সেইদিন দেখবেন আপনাদের অরাজনৈতিক চর্চার খেসারত আপনাদেরকে চরমভাবে দিতে হতে পারে।
সবশেষে কচুয়ার আওয়ামী পরিবারের অভিভাবকদের করোজোড় অনুরোধ করবো, দয়া করে নিজেদের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে দলের বৃহৎ স্বার্থে কাজ করুন,কচুয়া আওয়ামী পরিবারের ঘরোয়া বিরোধ মিটিয়ে সবাই একপ্লাটফর্মে এসে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার মানসে কাঁধে কাঁধ মিলেয়ে কাজ করুন।বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ কচুয়া উপজেলা আওয়ামী পরিবার উপহার দিন।এতেই আমাদের সকলের মঙ্গল নিহিত রয়েছে হয়তো।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
মোঃ ইমাম হোসাইন।
একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক