ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে এক প্রেস ব্রিফিং আজ সকাল ১১ টায় ফরিদপুর পুলিশ অফিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়
গত ৫ ই এপ্রিল সন্ধ্যা অনুমান ৭/১০ মিনিট এ ফরিদপুর জেলার সালথা থানা দিন ফুকরা বাজারে সহকারী কমিশনার ভূমি মারুফা সুলতানা হিরা মনি হত্যার দুই জন স্টাফ সহ লকডাউন কার্যকরী করতে গেলে স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়। এই ঘটনার জেরে ঊশৃংখল ও বি ক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ঢুকে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন, গাড়ির গ্যারেজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস, ব্যক্তিমালিকানাধীন মোটরসাইকেল ও থানার পশ্চিম পাশে আবাসিক কোয়াটারে পিছনে ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে, ও অগ্নিসংযোগ করে তারা থানার সামনের সড়কে আগুন লাগায় এবং থানার চারপাশে বাউন্ডারি ওয়ালের অগ্নিসংযোগ করে এবং বাউন্ডারি ওয়ালের ভিতরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
অগ্নি সংযোগের ফলে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সহকারী কমিশনার ভূমি সালতা এবং সরকারি দুটি গাড়ি পুড়ে যায় এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের ক্ষতি সাধন করে। সম্পদ ও জনবল এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ চায়নার রাইফেল হতে ৭৫ রাউন্ড শটগান হতে ৫৮৮ রাউন্ড ফায়ার করে। এবং ৩২ টি গ্যাস সেল ও ২২ সাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা ৩১ রাউন্ড শটগানের ফায়ার করে, পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাব সদস্যরা ৫০ রাউন্ড শটগানের ফায়ার করে এবং পাঁচটি টিয়ার শেল ব্যবহার করে এ ঘটনায় ৭ জন পুলিশ ও একজন রাব সদস্য আহত হয় দুর্বৃত্তদের মধ্যে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয় । আহতদের একজন চিকিৎসা চলাকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে ২ জন পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সালথা থানায় মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭৯ জন অপরাধীকে শনাক্ত করা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এজাহারনামীয় ১২জনের মধ্যে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছে আর জনকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে এবং দুইজন পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। গ্রেফতারকৃত দের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। কোন সিসিটিভি ফুটেজ কিবা ভিডিও ফুটেজ পাওয়া না গেলেও ফেসবুক লাইভে প্রচারিত ভিডিওসমূহ সংগ্রহ পূর্বক বিশ্লেষণ করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ব্যবহার করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কদম তোকে সামনে দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদ ধ্বংস কারী এবং জনগণের অনুষ্ঠানে অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয় ইতোমধ্যে ফরহাদ নামের এক আসামি ফেসবুক লাইভ এর মাধ্যমে অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া হৃদয় নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবির তরিকুল ইসলাম।
তারা এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।