নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনকে দেখলেই বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে দোকানের সাটার। আবার মোবাইল টিমের বহর চলে গেলেই সাটার খুলছেন ব্যবসায়ীরা। এরকম ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে কুড়িগ্রামে লকডাউন।
লক ডাউনকে লক্ষ্য করে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেলেও দুপুরের পর কিছুটা শিথিল অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। এসময় যত্রতত্র লোক সমাগম, যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট খোলা লক্ষ্য করা যায়।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন থেকে অভিযান পরিচালনা করার সময় মাস্ক না পরার অপরাধে দণ্ডবিধি আইন ১৮৬০/২৬৯ ধারায় জেলা শহরে ১১জন ব্যক্তির নামে ১১টি মামলা এবং ১ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা তাসনিম। তার সঙ্গে ছিলেন সদর উপজেলার স্যানিটারি অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টিম।
অপরদিকে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ বিভাগ শহরের বড় বড় হাট-বাজারগুলোতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সতর্কমূলক বার্তা প্রচারণা করে। দুপুরে সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে যাত্রী নিয়ে দুরপাল্লার বাস চলাচলের অপরাধে শহরের কাঁঠালবাড়ী এলাকা থেকে একটি যাত্রীসহ বাস জব্দ করা হয়েছে বলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ. শাহরিয়ার নিশ্চিত করেছেন।
করোনা ভাইরাসের টিকা সম্পর্কে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, কুড়িগ্রামে প্রাপ্ত ৬০ হাজার ডোজের মধ্যে ৪৩ হাজার ৮২৫জনকে ডোজ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ডোজ আছে ১৪ হাজার ৯৯০টি এবং নষ্ট হয়েছে ১ হাজার ১৭৫টি। প্রথম ডোজ অব্যাহত থাকার পাশাপাশি আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে এই শীর্ষ কর্মকর্তা জানান। এছাড়াও এই কর্মকর্তা জানান, আগমি ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সংরক্ষক টিকাগুলোর কার্যক্ষমতা রয়েছে।
লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, প্রথমদিন লোকজনকে সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। আগামিকাল থেকে কঠোরভাবে এটি মানা হবে। অমান্য করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।