মো: মাসুদ রানা,কচুয়া প্রতিনিধি ॥
প্রায় বিশ বছর আগে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন নুরুল ইসলাম। পরে জাহানারা বেগম নামে এক মুসলিম নারীকে বিয়ে করে নিখোঁজ রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি কী আদৌ বেচেঁ আছেন, নাকি মরে গেছেন তা জানেন না তার পরিবার। তবে পুত্র মো: সাগর মিয়া তার ভোটার আইডিতে তার বাবার নাম মৃত. নুরুল ইসলাম বলে দাবি করেছেন। বর্তমানে নুরুল ইসলামের সন্তান সাগর মিয়া কচুয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: মাসুদ আলম প্রধানের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। স্ত্রী,সন্তান ও নিজের জীবন বাঁচাতে অন্যের কাছে প্রতিনিয়ত হাত পেতে জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল রবিবার সরে জমিনে আলাপ কালে যুবক সাগর হোসেন জানান, তার পিতা সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহন ও তার জন্মের পর তার বাবার হদিস মেলিনি। পরে সে কর্মের তাগিদে রাজমিস্ত্রী কাজ করতো। কিন্তু বিধির বিধিরবাম সেখানেও তার ভাগ্য কাটেনি। এক সময় কাজ করতে গিয়ে তার কোমড়ে রডের আঘাতে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়ে রগ ছিড়ে যায়। অর্থ ও সামর্থ্যরে কারনে ভালো চিকিৎসা করাতে না পারায় ভাঙ্গা কোমড় নিয়ে পরবর্তীতে কিছুদিন কচুয়া বাজারে ঝালমুড়ির ব্যবসা করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সময় কোমড়ে প্রচন্ড ব্যথা দেখা দেয়ায় বেশ কিছুদিন কাজকর্ম করতে পারেনি। বর্তমানে অর্থ না থাকায় স্ত্রী ও ২ অবুঝ সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। বাধ্য হয়ে অন্যের কাছে হাত পেতে সাহায্য সহযোগিতা নিচ্ছেন।
সাগর হোসেন জানান, আমার পূর্বের বাড়ি কচুয়ার করইশ শীল বাড়ি হলেও সেখানে আমাদের এখন আর বসবাস নেই। সংসারের হালধরার কেউ না থাকায় বাধ্য হয়ে মানুষের কাছে হাত পেতেছি। কোমড় ভেঙ্গে যাওয়ায় ভারি কোনো কাজকর্ম করতে পারছি না। মানুষের কাছে সাহায্য চাইতেও লজ্জা লাগে। কোনো সু-হৃদয়বান ব্যক্তি আমার অসহায় পরিবারের দিকে তাকিয়ে নগদ কিছু অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করলে কচুয়া বাজারে একটি ক্ষুদ্র দোকান দিয়ে আমার সংসারের হাল ধরতে চাই। তাকে কেউ সাহায্য সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৭৭১২৪৭৭২ এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
কচুয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর মো: মাসুদ আলম প্রধান বলেন, ছেলেটি খুবই অসহায়। আমি তাকে চিনি ও সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টা করছি।