আমাদের সবার প্রিয় শিরীন আপা, আপনাকে অভিবাদন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনি ২০১৭ সালে ১১মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জণে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যে ঐতিহাসিক প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন, যে প্রস্তাব জাতীয় সংসদ সর্বসম্মতভাবে গ্রহন করেছিল আজ আপনার প্রস্তাবের সেই কথা সহস্রকণ্ঠে সমগ্র পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় উচ্চারিত হচ্ছে বিশ্ববাঙালির কন্ঠে।১৯৭১ সালে স্বাধীনতাকামী, মুক্তিকামী বাঙালি জাতির উপর পাকহানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় সহযোগী জামাত-শিবির-মুসলিম লীগ-রাজাকার-আলবদর-আল শামস-শান্তি কমিটি দ্বারা সংগঠিত ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা শুধু বাঙালির উপর গণহত্যাই না, সমগ্র মানবসমাজের উপর পরিচালিত গণহত্যা। ১৯৭১ গণহত্যা শুধু বাঙালি জাতির উপর পরিচালিত নিকৃষ্টতম অবিচার না, মানবজাতির উপর পরিচালিত নিকৃষ্টতম অবিচার। তাই বাঙালি জাতির জন্য ন্যায়বিচার, সমগ্র মানব সমাজের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য গণহত্যার বিচার অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের গণহত্যার বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশেরই কিছু লোক বিশ্বাসঘাতকতা করে হাত মিলিয়েছিল পাকিস্তানি ঘাতকদের সঙ্গে। তারা অংশ নেয় গণহত্যা, নারী নির্যাতন ও লুটতরাজ-অগ্নিকাণ্ডের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে। সেই চিহ্নিত শত্রুদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রত্যয় নিয়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে স্বাধীনতা বা বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অবশেষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে।স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানাই আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, যাদের আত্মত্যাগের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি একটি জাতি হিসেবে। স্বাধীনতা অর্থ দিয়ে কেনা যায় না। এটি অনেক সাহসী মানুষের সংগ্রামের ফলাফল। আসুন আমরা আরও একবার সাহসী সেই বীরদের স্মরণ করি। আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশকে সম্পদ, শান্তি এবং সুখের জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি।