ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে অপরাজেয় ৭১ প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বণীর মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতা দিবসের কার্যক্রম।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি শহরের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সৌধ অপরাজেয় ৭১-এ পুষ্পস্তবক অর্পন করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়াও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী র্যালী ও সকাল সাড়ে ৮ টায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (বড় মাঠ) মাঠে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পুলিশ, আনসার, বি.এন.সি.সি, বাংলাদেশ স্কাউট, গার্লস গাইড, রোভার ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী কর্তৃক কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত অনুষ্ঠিত হয়।
পরে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা এবং সরকারি হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবারসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
এছাড়াও ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোকসজ্জা, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিতর মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়।