বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে ভেসে উঠল শিশু শিক্ষার্থীর লাশ। উপজেলার চাখার ইউনিয়নের কালিরবাজারে সন্ধ্যা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যাওয়ার দু’দিন পরে ভেসে উঠল পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সুমি (১২)’র নিথর দেহ। সন্ধ্যা নদীর যে স্থানে গোসল করতে নেমে সুমি ডুবে গিয়েছিল তার অদূরে (১৯ মার্চ) শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার লাশ ভেসে ওঠে।
সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করার পরে নদীর তীরে স্বজনদের আহাজারীতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। শুক্রবার বাদ জুমা নানা বাড়ি বানারীপাড়ার কালিরবাজারে প্রথম ও উজিরপুর উপজেলার হরিদ্রাপুর গ্রামে বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।প্রসঙ্গত ১৭ মার্চ বুধবার দুপর ১টার দিকে সুমিসহ দুই শিশু নদীতে গোসল করতে নেমে সাঁতার না জানায় ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে। এসময় শিশু নয়ন মন্ডলকে (৮) স্থানীয়রা জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও সুমি পানিতে ডুবে যায়। ওই শিশুর ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন তাৎক্ষণিক উদ্ধার তৎপরতায় পুলিশ টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠান, তবে নদীতে জোয়ার থাকা এবং ভাঙন কবলিত ওই স্থানে পানির গভীরতা ও বেশী স্রোত থাকায় বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী টিম ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েও শিশুটিকে খুঁজে পায়নি।
সুমির বাবার নাম সুমন তালুকদার। পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের হরিদ্রাপুর গ্রামে তাদের বাড়ি হলেও তারা সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করে। সুমি নানাবাড়ি বেড়াতে এসে বাড়ি সংলগ্ন কালিবাজার সন্ধ্যা নদীতে গোসল করতে নামলে এই দূর্ঘটনা ঘটে।