১৯৯৫ সালের ১লা জুলাই চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা ১৫০ কিঃমি মিটারগেজ লাইনে এবং লাকসাম থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৬৯ কিঃমি রেললাইনে জনসাধারণের জন্য খোলা হয় মুহুরীগঞ্জ রেল স্টেশন।
শুরুর দিক থেকে এই স্টেশন ছিল সরগরম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কলকাকলি হীন হয়ে পড়ে এই স্টেশন। মুহুরীগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের তালিকা যুক্ত ছিল সূবর্ণ এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী গোধুলী এক্সপ্রেস এর মতো রেলগাড়ী। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে বন্ধ হয়ে পড়ে এই রেল স্টেশন।
দীর্ঘ বিরতির পর ছাগলনাইয়া বাসীর আকুতিতে পুনরায় চালু হয় মুহুরীগঞ্জ রেল স্টেশন। কিন্তু এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিকে ফের বন্ধ হয়ে পড়ে এই স্টেশন। জনবল সংকট দেখিয়ে নাম মাত্র স্টেশন টি বন্ধ করে দেন।
স্টেশন বন্ধ করার ফলে ঘোপাল, শুভপুর, রাধানগর, মহামায়া সহ তথা ছাগলনাইয়া মানুষের জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম যারা চাকুরীজীবী তারাই বেশী বেকায়দায় পড়েছে ন। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ২টি আফ ও ৩ টি ডাউন লোকাল ট্রেন থামতো। বর্তমানে দুমাস ধরে স্টেশন মাস্টার অবসরে চলে যাওয়াতে আবার স্টেশন পুনরায় বন্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে মুসলেহ উদ্দিন মুসলিম দৈনিক বাংলার অধিকার এর প্রতিবেদককে বলেন, বহু কষ্টে বন্ধ স্টেশন চালু করা হয়, পুনরায় স্টেশন বন্ধে যাত্রীরা হতাশ, তাছাড়া পিএসপি ও ইঁট বাটার শ্রমিক যারা নেত্রকোনা ময়মনসিংহ থেকে আশা যাওয়া করে তারা বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে। আমরা চাই পুনরায় মুহুরীগঞ্জ রেল স্টেশন চালু হোক সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর হোক।
এই বিষয় সাবেক স্টেশন মাস্টার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনবল সংকট তাই এই স্টেশন বন্ধ রয়েছে।
ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক বলেন, গত কয়েকমাস আগে স্টেশন মাস্টার অবসরে চলে যান, তখন আমি ওনাকে অনুরোধ করে বলেছি নতুন একজন যুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা করে দিতে কিন্তু তা হয় নাই।
ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, এই স্টেশন আমাদের ছাগলনাইয়া বাসীর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ, স্টেশন মাস্টার না থাকাতে ছাগলনাইয়া সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি আপনারা যদি অতিদ্রুত একজন স্টেশন মাস্টার নিয়োগ করে স্টেশনটি পুনরায় চালু করে দেন আমরা ছাগলনাইয়া বাসী দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো।