উত্তম চক্রবর্তী,মণিরামপুর(যশোর)অফিস॥ বাঁশ, ইট ও কাগজ দিয়ে নিজেদের তৈরী করা শহীদ মিনারে আর কতদিন উৎযাপন করতে হবে অমর ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস দিবস। এভাবে কতদিন চলবে শহীদদের স্মরনে পুষ্প অর্পন।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এমন উক্তি করেছেন। কারন তারা বিগত বছর গুলোতে নিজেরাই তৈরী করে আসছে বাশ ও কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার। এ বছরও শহীদ মিনার তৈরী করতে তারা প্রস্তুত। রাজগঞ্জ এলাকার অধিকাংশ মাদ্রাসায় নেই শহীদ মিনার।
তাই এ সকল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে সুন্দর ভাবে পালন করতে পারেনা অমর ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবসটি। দেখা গেছে নিজেরা বাঁশ ও ইট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করে পুষ্প অর্পন করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। দ্রুত এ সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরী করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে- মণিরামপুর উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ মাদ্রাসায় সরকারী ভাবে কোন শহীদ মিনার তৈরী করা হয়নি।
এর মধ্যে রাজগঞ্জ অঞ্চলের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শ্যামকুড় যম্যমিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রতনদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, রাজগঞ্জ মোবারকপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসা, নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, রইচউদ্দীন দাখিল মাদ্রাসা, হাজরাকাটী আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, হাজরাকাটী মহিলা আলিম মাদ্রাসা, খালিয়া এম এইচ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, গালদা খড়িঞ্চী দাখিল মাদ্রাসা, হেলাঞ্চী দাখিল মাদ্রাসা, হরিহরনগর দাখিল মাদ্রাসা, ঝাঁপা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, ডুমুরখালী দাখিল মাদ্রাসা, পারখাজুরা আহসানিয়া দাখিল মাদ্রাসা, শমছেরবাগ দাখিল মাদ্রাসা, চাকলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসাসহ অধিকাংশ মাদ্রাসা। ফলে এ সকল মাদ্রাসায় প্রতি বছর ছাত্র/ছাত্রীরা বাঁশ ,ইট ও অন্যন্য সরঞ্জামাদী দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করে দিবসটি উৎযাপন করে আসছে। সকালে প্রভাত ফেরীর পর হাতে গড়া শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরনে শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্প অর্পন করে ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ স্থানীয়রা। এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলার শ্যামকড় যম্যমিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মওিলানা নজরুল ইসলাম, বলেন দিবসটি আমরা ভাল ভাবে পালন করতে পারিনা। নিজেদের তৈরী করা শহীদ মিনার পুষ্প অর্পনের মধ্যে দিবসটি পালন করা হয়। এ বছরও একই ভাবে দিবসটি পালন করতে হবে। তারা আরো বলেন- আগামী বছরে দিবসটি পালনের আগেই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার বানানোর জন্য সরকারের দৃষ্ঠি আর্কাষন করেছেন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ।