ফেনীর ছাগলনাইয়া শুভপুর ইউনিয়নস্থ চম্পক নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ কাজে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ছাগলনাইয়া এলজিইডির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ওই প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পে ৭৫ লাখ টাকা ব্যায় কাজের দায়িত্ব পান মেসার্স এস. এম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নিম্ন মানের ইট, বালি ও কংক্রিট দিয়ে কাজ শুরু করলেও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী বাধা দেয়নি বরং অতি দ্রুত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার অনুমতি দিয়েছে।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মান সম্মত কাজ করতে সরকার পর্যাপ্ত পরিমান টাকা বরাদ্দ ও তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিয়োগ দিলেও এ প্রকল্পের ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ম নীতির প্রতি তোয়াক্কা করা হচ্ছেনা। নীচ থেকে ১২ ফুট পিলার দেওয়া কথা থাকলে সাড়ে ৩ ফুট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বিদ্যালয়ের কাজ তাড়াহুড়ো করে সমাপ্ত করার লক্ষে কাজ করে চলছেন বলে জানা গেছে। মাঠ পর্যায়ে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএম এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বাপ্পি বলেন, বিদ্যালয়ের কাজ শতভাগ হচ্ছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকরতারা ভাল মন্দ তদারকি করছেন। সাধ্যমত ভাল মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সাব কন্ট্রাক্টর রেজাউল করিম বলেন, এই প্রকল্পটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল’র কাছ থেকে কিনে নিয়েছি তদুপরি এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সবকিছু জানে। তবে কি জানে তিনি স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেনি।
সংবাদ সংগ্রহের সময় স্থানীয় কথিত একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারের পক্ষ হয়ে বলেন, আপনাদের কি অভিযোগ আমাকে বলেন আপনার যে পেশায় কাজ করছেন আমিও সে পেশায় আছি, এখানে কোন প্রকার দূর্নীতি হচ্ছেনা বলেও সে নিশ্চিত করে।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রথমে কয়েকজন আমাদের কাছ থেকে কিছু সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে এ প্রকল্পটি শতভাগ কাজ হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন। তবে কারা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করল তা তিনি স্পষ্ট করেননি। প্রধান প্রকৌশলী নজিবুর রহমান বলেন, আমার ইঞ্জিনিয়ার দেখাশুনা করছে। তাদের তথ্যর ভিত্তিতে শতভাগ কাজ হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া তাহের চৌধুরী বলেন, আমি নিজে গিয়ে প্রকল্পটির কাজ দেখে আসব। অনিয়মের যদি দোষ ক্রুটি খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই নতুন করে কাজ করতে হবে। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ নেই।