ছাগলনাইয়া পৌর শহরে গত বুধবার (১৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় ডাঃ এস আলম মার্কেটের নীচ তলায় রবিন গার্মেন্টস এন্ড কসমেটিক্স নামক প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর সহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানা অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে বাদী জাহাঙ্গীর আলম জানান, আসামী ছাগলনাইয়া পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ ননীর নেতৃত্বে মোঃ জনি, মোঃ সজিব, মোঃ রাহাত, মোঃ মামুন, মোঃ ফারুক, মোঃ রকি, মোঃ মেহেদী, মোঃ সৌরভ সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন সন্ত্রাসী পূর্বে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে হঠাৎ করে আমার প্রতিষ্ঠানে এসে চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা লোহার রড়, দা, ছেনি, হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে হাতে পায়ে বুকে পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলা জখম করে। এসময় ধারালো ছেনি দিয়ে কুপিয়ে ডান হাতের আঙ্গুলে কাটা জখম করে। বাদী আরো জানান, সন্ত্রাসীরা আমার প্রতিষ্ঠানের ক্যাশবক্স থেকে নগদ ২৭ হাজার ৩০০ টাকা ও আমার ব্যবহৃত মোবাইল র্যাডমি-৮ সেটটি নিয়ে যায় যার মুল্য ১৪ হাজার টাকা। সন্ত্রাসীরা তাতে ক্ষান্ত না হয়ে আমার প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র সহ অন্যন্য দোকানেও ভাংচুর করে যার ক্ষয়ক্ষতি মুল্য আনুমানিক ১ লক্ষ টাকা। সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার আত্মচিৎকারে ব্যবসায়ী সহকর্মিরা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা করান যার রেজিঃ নং- ৬৭/৫। সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় প্রকাশ্য হুমকি দেয় যে এ বিষয়ে যদি থানা অভিযোগ দেওয়া তাহলে প্রাননাশের হুমিক সহ ব্যবসা বানিজ্য গুটিয়ে দেওয়া হবে।
এবিষয়ে বিবাদী মোঃ আহছান হাবিব রাহাত বাদী হয়ে মোঃ রিয়াদ উদ্দিন, মোঃ রাকিব, মোঃ অন্তু ও মোঃ হান্নানের বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া থানা পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে।
এবিষয়ে পৌর ছাত্রলীগ নেতা নুর মোহাম্মদ ননী চাঁদা ও মারধরের ঘটনাকে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, এক শ্রেনীর লোক আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানকে নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এবিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এবিষয়ে ছাগলনাইয়া থানা ইনচার্জ অফিসার মোঃ মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ পাল্টাপাল্টি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।