ফেনী জেলা ছাগলনাইয়া থানা অন্তর্ভুক্ত ১০নং ঘোপাল ইউনিয়নস্থ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে বেশ কিছুদিন ধরে সিএনজি ছিনতাই ঘটনা ঘটেছে বলে জানাযায়। এর ধারাবাহিকতা সূত্র ধরে ফাজিলপুর হাইওয়ে (মুহুরিগন্জ) পুলিশ ফাঁড়ি গতরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আন্তঃজেলা সিএনজি ছিনতাই দলের ৪ সদস্য কে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ ফাঁড়ি সুত্রে জানা যায়, শনিবার (৯ জানুয়ারী) দিবাগত রাত আনুমানিক ১২.১৫ ঘটিকায় ফেনী লেমুয়া ব্রীজ নামক স্থানে একটি সিএনজি কে ছিনতাইকারী’রা ধাওয়া করলে, সংবাদটি কৌশলে সিএনজি চালক ফাজিলপুর হাইওয়ে (মুহুরিগন্জ) পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করে। তখন ফাজিলপুর হাইওয়ে (মুহুরিগন্জ) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট সোহেল সরকার তার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘোপাল সুলতানা সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অবস্থান করেন এবং মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রাত ১২.৪৫ মিনিটে আসামীদের আটক করতে সক্ষম হয়।
ছিনতাইকারী ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানা নবগ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকী এর পুত্র মোমিন উল্যাহ (৩৮), একই জেলার সদর থানার মৃতঃ আলী আকবরের ছেলে মনির আহাম্মদ (৩৫), হাতিয়া উপজেলার বুবীর চর গ্রামের লালু বিগার’র ছেলে জয়নাল (৩৩) ও কোম্পানিগঞ্জ থানার মোতালেব’র ছেলে মোহাম্মদ শেখ আহাম্মদ (৪০)।
আটকের সময় ছিনতাইকারী ডাকাতদল থেকে উদ্ধার করা হয়, ১টি লোহার পাইপ, ১টি লোহার রড যার একপাশ সুঁচালো, ১টি ইলেক্ট্রিক ক্যাবল (তার), ৪টি মোবাইল, ১টি মাইক্রোবাস (নোহা) যার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো-চ-১৪-১০৮৭। ফাজিলপুর হাইওয়ে (মুহুরিগন্জ) পুলিশ ফাঁড়ি আসামীদের নামে জিডি নং- ১৯১ দায়ের করে রাতেই সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ফাজিলপুর হাইওয়ে (মুহুরিগন্জ) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট সোহেল সরকার সাংবাদিকদের জানান, গত ২৯/১২/২০২০ ও ৩/১/২০২১ ইং তারিখে সিএনজি ছিনতাইর খরব শুনা যায় তাই আমরা গত কয়েকদিন যাবত হাইওয়েতে মোবাইল পুলিশ ডিউটি জোরদার করি তারই ধারাবাহিকতায় গতরাতে আন্তঃজেলার ৪ জন ছিনতাইকারী ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হই। এবং এই মোবাইল পুলিশ ডিউটি অব্যাহত থাকবে নিরাপত্তা জোরদার কাজে। তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, এই ৪ জন আসামীদের বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।
উল্লেখ্য যেঃ গত কয়েকমাস যাবত সার্জেন্ট সোহেল সরকার তার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে মহাসড়কে একাধিক সফলতার সহিত অভিযান পরিচালনা করেন এবং মহাসড়কে সার্বিক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন।