সাইফুদ্দিন
গ্রেফতার মোঃ আঃ খালেক হাওলাদার (৫৫) বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলারার পশ্চিম বিবিরপাড় এলাকার মৃত গোলাম আলী হাওলাদারের ছেলে এবং বরিশাল নগরের কাশিপুরস্থ ভুইয়া মসজিদ সংলগ্ন নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের কেয়ারটেকার।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় বরিশাল নগরের রুপাতলীস্থ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।
তিনি জানান, গত ২০ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে বরিশাল জেলার গৌরনদী থানাধীন ভূরঘাটা নামক স্থানে বাসের ভিতর ড্রামে একজন অজ্ঞাতনামা নারী বয়স অনুমান ৩৪/ ৩৫ বছর এর মৃতদেহ পাওয়া যায় ।
পিবিআই ক্রাইমসিন টিম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্রাইমসিন সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এটি একটি কুলেস হত্যাকান্ড। পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা মৃতার পরিচয় নির্ণয়, হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করে । পিবিআই বরিশাল জেলার একটি টিম-কে ছায়া তদন্তে নিয়োজিত করা হয়। একই দিন পিবিআই বরিশাল জেলা অজ্ঞাতনামা মৃত মহিলার পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
সে গৌরনদী উপজেলার সদরের বাসিন্দা ও কাতার প্রবাসী মোঃ সহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা বেগম।
এরপর ২৩ নভেম্বর মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই এর বরিশাল জেলা ইউনিট দায়িত্ব গ্রহন করে। মামলাটি তদন্তকালে পিবিআই বরিশাল জেলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ দশ সদস্যের একটি টিম আসামী গ্রেফতারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান পরিচালনাকালীন গতরাত ৩ টার দিকে হত্যায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী মোঃ আঃ খালেক হাওলাদার (৫৫) ওক বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমানবন্দর থানাধীন হিজলতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, হত্যার ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যেই পিবিআই হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে প্রযুক্তি ও ম্যানুয়াল পদ্বতির সাহায্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।
আসামীসহ অভিযান পরিচালনাকালে তার বর্ণনামতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামত হিসেবে পূর্বে জব্দকৃত ড্রাম ও পাইপের তৈরী রড বাঁকা করার যন্ত্র (চিরা সাপল) সে সনাক্ত করেন। যে সাপল দিয়ে নিহতের মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয় বলে গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি আরো জানান, আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাগেছে পাওনা ৫-৬ লাখ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে আসামী খালেক হাওলাদার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছাবিনাকে হত্যা করে। যে টাকা দিয়ে সাবিনার স্বামীর মাধ্যমে আসামী খালেক হাওলাদারের স্বজনকে বিদেশে পাঠানোর কথা ছিলো। কিন্তু সে টাকা না দিয়ে বার বার ঘোড়ানোর কারনে খালেক হাওলাদার সাবিনার ওপর ক্ষুব্ধ হয়।