রাজশাহী জেলার বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমে পড়েছেন বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশি। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৎপরতা শুরু করেছেন জোরে শোরেই আবার জনপ্রিয়তার কারনে অনেকেই হচ্ছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী।
এদিকে রাজশাহী কাটাখালী পৌরসভায়
পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু শামা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে বেশ জোরেসোরেই চালাচ্ছিলেন নির্বাচনী তৎপরতা। কিন্তু
পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে আবু শামার প্রার্থীতা বাতিল করেন রিটানিং অফিসার। কিন্তু আবু সামা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালতের নির্দেশে আবারোও প্রার্থীতা ফিরে পান আবু শামা। ইতিমধ্যে তিনি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে লড়বেন বলে সাফ জানিয়েও দিয়েছেন গনমাধ্যমকে। পারিবারিকভাবে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় অনেকেই এই প্রার্থীর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন বৈকি।
আজ শনিবার রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিসে স্ব-শরীরে নারিকেল গাছ প্রতীক বরাদ্ধ পেয়ে সাংবাদিকের সাথে এসকল কথা বলেন কাটাখালী পৌর মেয়রপ্রার্থী আবু শামা।
এ সময় মেয়র প্রার্থী আবু শামা সাংবাদিকদের জানান, আমাদের কিছু লক্ষ্য এবং স্বপ্ন থাকে, যদি প্রতিনিধিত্ব করা না যায়, তবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। আর জনগণের বাইরে থেকে রাজনীতি করে সব কাজ করাও সম্ভব নয়।
কাটাখালীর আপামর জনতা আমাকে ভালোবাসে, ভালো জানে তাই মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে এসেছি। যেহেতু রাজশাহী শিক্ষা নগরী এবং কাটাখালী এরই একটি অন্যত্তম অংশ। তাই কাটাখালী পৌরসভাকে আধুনিকায়ন করতে যা কিছু করা প্রয়োজন আমি মেয়র নির্বাচিত হলে তার সবকিছুই বাস্তবায়িত হবে ইনশাল্লাহ।
তারপরও আমরা প্রার্থীরা ভোট নেয়ার স্বার্থে অনেকে কথা বলি, কিন্তু আমি বলতে চাই আধুনিক হোক আর ডিজিটাল হোক সব ধরনের নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন একটি পৌরসভা গড়তে চাই।
এদিকে রাজশাহী পবা উপজেলা আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই মেয়রপ্রার্থী বলেন – কোন রকম কারন দর্শানো ব্যাতিত পবা উপজেলা আওয়ামীলীগ ঘরোয়া মিটিং করে রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগ ও কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ছাড়াই আমাকে যে বহিষ্কারাদেশ দেখাচ্ছে তা মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রনীত। তা না হলে নির্বাচনের আগেই কোন রকম কারন ছাড়াই কেনো বহিষ্কারাদেশ দিচ্ছে তা আপনারাই বিবেচনা করবেন।
এদিকে রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায় – তফসিল অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে। প্রতিটি পৌরসভাতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে।