“বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় চরের মানুষের সমান অংশ নিশ্চিত করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে সকলকে। পিছিয়ে থাকা চরাঞ্চলকে উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) চরের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ দিতে হবে।”- বলেছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরিদুল হক খান,এমপি।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স এবংসমুন্নয় আয়োজিত“করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: চরাঞ্চলের প্রস্তুতি”শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড কো-অপারেশন (এসডিসি)-এর অর্থায়নে পরিচালিত‘আলোকিত চর’প্রকল্পের আওতায় এই অনলাইন কর্মশালা আয়োজিত হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এক্সপ্রেস লেদার প্রডাক্টস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কাজি জামিল ইসলাম এবং মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং সমুন্নয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান। চরাঞ্চলে মানুষের জীবন জীবিকার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে এমন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ কর্মশালায় অংশ নেন।
ড.আতিউর রহমান তাঁর নিবন্ধে চরের জীবনমানের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যে পার্থক্য তা তুলে ধরেন। তিনিব লেন যে, মহামারির আগেই পিছিয়ে থাকা চরাঞ্চল অর্থনৈতিক স্থবিরতার ফলে আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। তাই জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশেষ করে বাজেটের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে চরাঞ্চলের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রকল্প প্রণয়ন করা জরুরি বরে তিনি মনে করেন। করোনা মহামরির দ্বিতীয় ঢেউ থেকে চরাঞ্চলের সুরক্ষা দিতে চরে স্বাস্থ্য সেবা, কৃষিতে ভর্তুকি, নারী প্রধান পরিবারগুলোর জন্য বিশেষ সহায়তায় ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের ৮ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন চরে কাজ করছেএমন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
কাজি জামিল ইসলাম জানান যে,তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চরাঞ্চলে নারীর ক্ষমতায়নে বিনিয়োগ করবেন যাতে করে ব্যক্তি খাতের অন্য উদ্যোক্তারাও চরের উন্নয়নে আগ্রহী হয়ে উঠেন।আগামীতে জাতীয় বাজেটে চরের উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা, চরের নবসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, চরের উন্নয়নে ব্যক্তি খাতকে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বক্তারা।