সালে আহমেদ,ডেমরাঃ
শীত মৌসুমের শুরুতে রাজধানীর ডেমরা ও পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোতে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। শীত জেঁকে বসতে না বসতেই নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গ্যাস সংকটে সমস্যা হচ্ছে নিত্যদিনের রান্নাসহ গৃহস্থালীকর্মে।নগরের বেশিরভাগ এলাকায় গ্যাসের চুলা কখনো জ্বলছে, কখনো জ্বলছে না। আবার কখনো জ্বলছে নিবু নিবু করে। এতে বিপাকে পড়ছেন গৃহিণীরা।ডেমরার অধিকাংশ এলাকায় সকাল থেকে বিকেল অবধি গ্যাসের চাপ নেই বললেই চলে। ফলে বাধ্য হয়ে রাতে অথবা কাকডাকা ভোরে দিনের রান্নার কাজ শেষ করছেন গৃহিণীরা।
জানা গেছে,কোনাপাড়া,শাহজালাল রোড,ডগাই ব্যাংক কলোনী, মদিনাবাগ, বাশেরপুল,বড়ভাঙ্গা, গ্রীনসিটি, মোমেনবাগ, আল আমিন রোড, বক্রনগর,হিজলতলা,খন্দকার রোড, ইস্টান হাউজিং ডগাইসহ ডেমরার বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের এ সংকট চলছে।
শাহজালাল রোডের বাসিন্দা মরিয়ম রহমান জানান,
কোনাপাড়া শাহজালাল রোড ৬৪ নং ওয়ার্ডে
সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ৩ টার পরে গ্যাস আসে।
মাঝে মাঝে আবার সন্ধা ৭ টায়ও চলে যায় রাত ১০ টায় আসে।
বামৈলের বাসিন্দা সুমাইয়া শিমু বলেন,বামৈল আহম্মদ নগরে সকাল ৭ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত থাকেনা একেবারেই।রাতে ও কমে যায়।এছাড়া ও ডগাইর পূর্ব পাড়া মদিনা বাগ,নয়া পাড়া,বোর্ড মিল,গ্রিন সিটি এই এলাকায় সকাল ৫ টায় চলে যায় বিকাল ৩,৩০ টায় আসে,আবার ৫ য়ায় চলে যায় রাত ১১,৩০ টায় আসে।
বাশেরপুলের বাসিন্দা ঐশি বলেন,সকাল বেলা কম বেশি সবারই রান্না বান্না করতে হয় এই সময় টা তে যদি গ্যাস না থাকে তখন কেমন টা লাগে সকাল ৮ টা না বাজতেই গ্যাস উধাও হয়ে যায় গ্যাস আসে দুপুর ২ টায় সকালে ১ কাপ চা খাওয়ার মত গ্যাস থাকে না।এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?আরও বেশি শীত পরলে সকাল ৮ টার আগেই গ্যাস চলে যাবে।
কোনাপাড়ার বাসিন্দা শাওন রহমান বলেন,গ্যাসের সমস্যার জন্য এই এলাকা থেকে বাসা ছাড়ার পরিকল্পনা নিচ্ছি।কোনাপাড়া,খন্দকার রোড,ওয়ার্ড নং ৬৪, সকাল ৬টায় গ্যাস যায়, মাঝেমধ্যে বিকাল৪ টায় আসে ৫টায় চলে যায় তাও আগুন একটু যা এই আগুনে কিছুই রান্না করা যায় না,তারপর নিভে যায়, একেবারে রাত ১০টার পর আগুন আসে।
ডগাইর বাসিন্দা ইশরাত জানান,ডগাইর পশ্চিমপাড়া, সৃজনশীল হাই স্কুল এর কাছে ৬৬ নং ওয়ার্ডে সকাল ৮ হতে দুপুর ২ দুইটা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না।
ডিএসসিসির ৬৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাদিয়া বলেন,পূর্ব বক্সনগর, বকুলতলায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পযর্ন্ত গ্যাস থাকে না।তিনি বলেন, সকাল বেলা গ্যাসের চাপ এতটাই কম থাকে সামান্য পরিমাণ চায়ের জন্য পানি ফুটাতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। তাই নিরুপায় হয়ে রাতের বেলা রান্নার কাজ শেষ করে রাখছি।
ডিএসসিসির ৬৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উম্মে হানি জানান, এলাকায় গত এক সপ্তাহ যাবত গ্যাসের জন্য হাহাকার চলছে। সূর্য উঠার আগেই রান্না সেরে ফেলতে হয়।
গ্যাসের এ সংকট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিকাটুলি জোনের ডিজিএম জনাব কাবির মিয়া বলেন, ‘বিগত কিছুদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাস স্বল্পতা সংক্রান্ত অভিযোগ আসছে’।প্রতিবছর শীতকালে গ্যাস লাইনের পাইপে বরফ জমে গ্যাসের সরবরাহের গতি কমে যায়।এসময় তিনি বলেন যে সমস্ত এলাকায় গ্যাস সমস্যা তারা চাইলে এনডি দপ্তরে বা মতিঝিল অফিসে যোগাযোগ করতে পারে। আমাদের টিকাটুলিতে ও চাইলে যোগাযোগ করতে পারে তবে একটু বিলম্বিত হতে পারে। গ্রাহকদের সর্বাত্নক সেবা দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।