আফ্রিকার গিনি উপসাগরীয় মুসলিমপ্রধান দেশ নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বর্নো রাজ্যের জেরে এলাকার কোশোবীর জামারমারিতে একটি ধান ক্ষেতে হামলা চালিয়ে অন্তত ৪৩ জন কৃষককে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। গ্রামপ্রধান ও পুলিশের বরাতে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স ও আল-জাজিরা। হামলাকারীদের খোঁজে কর্তৃপক্ষ অভিযান শুরু করেছে।
আল-জাজিরা বলেছে, নৃশংস এ হামলার সময় চাষীরা ধান কাটতে ব্যস্ত ছিলেন। হামলাকারীদের খোঁজে কর্তৃপক্ষ অভিযান শুরু করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এ হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্যে রয়টার্সের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী ও পুলিশ।
ঐ অঞ্চলে স্থানীয় মিলিয়াদের একটি গ্রুপের নেতা বাবাকুরা কুলু ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এএফপিকে বলেছেন: আমরা ৪৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছি – যাদের প্রত্যেককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, ৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করেছি। এটা বোকো হারামের কাজ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ এলাকায় কৃষকদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ করছে তারা।
ইব্রাহীম লিমান নামে আরেক স্থানীয় যোদ্ধা জানান, নিহত কৃষকরা কাজের খোঁজে প্রায় এক হাজার কিঃমিঃ দূরবর্তী সোকোতো অঞ্চল থেকে কশোবী এসেছিলেন। মোট ৬০ জন কৃষকের সঙ্গে ধানক্ষেতে কাজ করার চুক্তি ছিলো। ৪৩ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ছয়জন।
এর আগে, গত মাসে মাইদুগুরি এলাকার কাছে পৃথক দুটি ঘটনায় ২২ জন কৃষককে হত্যা করে বোকো হারাম।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম ও ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স বহুদিন ধরে সক্রিয়। স্থানীয়দের সঙ্গে সশস্ত্র সংগঠনের সংঘর্ষে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত এবং ২০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
চলতি বছর নাইজেরিয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। খাদ্য উৎপাদন বেশি হয় – এমন অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা এর অন্যতম কারণ বলে দেশটির রাজনীতিকদের ভাষ্য।
চলতি বছরের শুরুর দিকে উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় বন্যায় হাজার হাজার হেক্টর জমির ধানও নষ্ট হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স ও এএফপি।