রোববার মিরপুরে গ্রামীণ সেন্টারে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের এই মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, দাবি আদায় না হলে অচিরেই রাজপথে বড় কর্মসূচি দেবে গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী কল্যাণ সমিতি।
মানববন্ধনে হবিগঞ্জ থেকে আসা অভিরঞ্জন পাল সাংবাদিকের বলেন, “সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে।
গ্রামীণ ব্যাংক গত তিন বছর ধরে এনিয়ে আলোচনা চালিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দরকষাকষি করেও দাবি আদায় করতে পারিনি। এখন বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।”
আন্দোলনকারী জানান, নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংককর্মী অবসরের সব টাকা এককালীন গ্রহণ করলেও নিয়মিত চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা এবং ১৫ বছরের অবসর জীবনের পর পুনরায় মাসিক পেনশন ভাতা পাবেন। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক একটি সরকারি বিধিবদ্ধ সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও সেই প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন করেনি। এখন উল্টো প্রজ্ঞাপন বাতিল করার জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির শুরু করেছে।
গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অবসর নেওয়া জীবিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রায় দুই হাজার কর্মী।
গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলমাস উদ্দিন দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, “গত ৫ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছি। সেখানে তাদের আচরণ দেখে মনে হয়েছে- সহসাই তারা এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার মানসিকতা রাখেন না।
এ প্রসঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের ডিএমডি জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার বলেন, “সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে চলে। এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসরের সময় এককালীন সব অর্থ গ্রহণ করেন। একমাস পর আমার অবসরের সময়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
“সম্প্রতি আন্দোলনকারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বিষয়টি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে যে, সরকারি ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপনটি গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না।”